মিরর বাংলাদেশে :
কথা সাহিত্যিত শওকত আলীর ৪র্থ মত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)।
শওকত আলী ১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।সাহিত্য চর্চার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৬ সালে ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার পান শওকত আলী। ১৯৫৮ সালে এমএ পাস করে দিনাজপুরের একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৫৯ সালের শেষের দিকে ঠাকুরগাঁও কলেজে বাংলার শিক্ষক হন গুণী মানুষটি।
১৯৬২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে লেকচারার হিসেবে চাকরি করেন শওকত আলী। ১৯৮৮ সালে জেলা গেজেটিয়ারের ঢাকার হেড অফিসে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৮৯ সালে সরকারি সংগীত কলেজের প্রিন্সিপাল করা হয় তাকে। সেখান থেকে ১৯৯৩ সালে অবসরে যান তিনি।
সারা জীবন শিক্ষকতা করে পার করেছেন তিনি। চাকরি থেকে অবসর নেন সরকারি সঙ্গীত কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে। শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়ে রাজধানীর হাটখোলায় নিজ বাসভবনে নিভৃত জীবনযাপন করেন তিনি।
দেশভাগের পর দিনাজপুরে এসে তার প্রথম লেখা গল্প প্রকাশিত হয় কলকাতার বামপন্থিদের প্রকাশিত `নতুন সাহিত্য` নামে একটি পত্রিকায়। এরপর দৈনিক মিল্লাত, মাসিক সমকাল এবং ইত্তেফাকে তার অনেক গল্প, কবিতা এবং বাচ্চাদের জন্য লেখা প্রকাশিত হয়। ছাত্রাবস্থায় সাংবাদিকতাও করেছেন তিনি। কাজ করেছেন মিল্লাত, মাসিক সমকাল ও সাপ্তাহিক মিঠেকড়ায়।
তার লেখা উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম- প্রদোষে প্রাকৃতজন, ওয়ারিশ, অপেক্ষা, গন্তব্যে অতঃপর, পিঙ্গল আকাশ, উত্তরের খেপ, অবশেষে প্রপাত, জননী ও জাতিকা, জোড় বিজোড় ইত্যাদি। দক্ষিণায়নের দিন, কুলায় কালস্রোত এবং পূর্বরাত্রি পূর্বদিন ত্রয়ী উপন্যাসের জন্য তিনি ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার পান। কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন একুশে পদক। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, অজিত গুহ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, লেখিকা সংঘ, স্বদেশ চিন্তা সংঘসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।