ফতুল্লায় একদিনের ব্যবধানে আবারও যুবক খুন

321

 

মিরর বাংলাদেশ :ফতুল্লায় একদিনের ব্যবধানে আবারো খুনের ঘটনা ঘটেছে।

মুন্না (২০) নামের এক যুবক কে বুধবার সকালে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এ সময় কুপিয়ে আহত করা হয়েছে তারেক(১৬) নামের আরো একজনকে । তারা উভয়েই ফতুল্লার লালপুরস্থ হাজী জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলসের শ্রমিক বলে জানা যায়।
নিহত মুন্না ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার পলাশপুরের জাহিদুলের পুত্র।

বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টায় ফতুল্লা থানার পোস্ট অফিস রোডস্থ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাংলাদেশ টায়ার নামক একটি কারখানার গেইটে এ ঘটনা ঘটেছে।
হত্যাকান্ডের নেপথ্যে কি ঘটনা তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান ,সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে হাজী জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলের দিকে থেকে একজন মেয়ে সহ তিন জন পায়ে হেটে পশ্চিম দিকে আসছিলো বিপরীত দিক থেকে আসা ৬/৭ জনের একটি গ্রুপের সাথে তাদের বাক বিতন্ডতা হয় তখন ৬/৭ জনের দল থেকে দুজন কে ছুরিকাঘাত করা হয়।একজনের পায়ের রগ কেটে যায় এবং অপরজনকে বুকে ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা দৌড়ে ইউনিয়ন পরিষদের দিকে পালিয়ে যায়।মেয়েটি ও পায়ে হেটে পশ্চিম দিকে চলে যায়।

তবে ভিন্ন কথা বলছে মাথায় আঘাত পাওয়া তারেক। তিনি জানান, হাজী জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলে চাকুরী করে।বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সে তার এক সহকর্মী কে নিয়ে পায়ে হেটে রেল স্টেশনস্থ বাসা থেকে নিজ কর্মস্থলে আসছিলো। ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ গলি পার হয়ে বাংলাদেশ টায়ার মিলসের সামনে যাওয়া মাত্র মাস্ক পরিহিত তিন যুবক তাকে ও তার সহোযোগিকে চড়,থাপ্পর ও ঘুষি মেরে তার সাথে থাকা মানিব্যাগ সহ ২১০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদর কে ছেড়ে দেয়। একটু পর মুন্না ও একই রাস্তা দিয়ে স্পিনিং মিলে আসছিলো। তাকেও তারা মারধর করে ও ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে তাদের মিলের অন্যান্য শ্রমিকরা রক্তাক্ত মুন্না কে জেনারলে (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে মারা যায় মুন্না।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান,নিহত মুন্না কে বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কি কারনে হত্যা করা হয়েছে তা কি শুধুই কি ছিনতাই না অন্য কোন কারনে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। প্রথমত বিষয়টি ছিনতাই মনে হলেও বিষয়টি মেয়ে ঘটিত কোন কারনে হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।