‘পল্টন থেকে গোলাপবাগ,বিএনপির অর্ধেক পরাজয় হয়ে গেছে’

262
ছবি : ওবায়দুল কাদের

রাজধানীতে আওয়ামীলীগের সমাবেশ নেতারা

* বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে : ওবায়দুল কাদের
* বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে : হানিফ
*  প্রতিবাদ নয় প্রতিহত করতে হবে : নাছিম
*  যাকে পাইবো মুড়াইয়া ঠিক কইরা হালামু : মায়া

মিরর বাংলাদেশ : বিএনপির আন্দোলনে অর্ধেক পরাজয় হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা বলেছিল- ‘নয়াপল্টনে সমাবেশ করবোই।’ আজ তারা গোলাপবাগে। তাহলে পরাজয় কার হলো? আমাদের না বিএনপির? আন্দোলনে অর্ধেক পরাজয় এখানেই হয়ে গেছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকায় বিএনপি তাদের সমাবেশে লাঠি বা আগুন নিয়ে আসলে ‘খেলা হবে’ বলে সতর্ক করেন ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
ঢাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) থাকবে গোলাপবাগে। আমরা চলে যাচ্ছি সাভারে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাদের ঢাকা দিয়ে গেলাম। আমরা ক্ষমতায়। আমরা কেন, অশান্তি চাইবো, আমরা কেন বিশৃঙ্খলা চাইবো?
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে। তাদের সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। বিএনপির ক্ষমতায় আসার রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উবে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি আজ বলে সরকার না কি ভয় পেয়ে গেছে। সরকার ভয় পেয়েছে? এখানে নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গণের সভা, এদিকে নবাবপুর, সেদিকে গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম। বিশাল সমাবেশ মাত্র ঢাকা দক্ষিণ করেছে।
এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরা সত্যটা তুলে ধরুন। কিছু কিছু মিডিয়া বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নেমেছে। তারা কারা, সময় মতো জবাব পাবে। কোনো কোনো মিডিয়া, রাতে ও সকালে দেখলে মনে হয় না এখানে আর কোনো দল আছে। বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো দল আছে?
এসময় কূটনৈতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি যারা আমাদের দেশে আছেন। বন্ধু দেশের প্রতিনিধিরা কারো পক্ষ নেবেন না। আমাদের ঘরের ভেতরে হস্তক্ষেপ করবেন না। আমরা জানি, কীভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হয়। আমি বলিনি, মেঘ চলে যাবে। সমাধান হবে, হয়েছে। বাঙলা কলেজ হয়ে অবশেষে গোলাপবাগ। শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে তাদের (বিএনপির)।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, দেশে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবে।
হানিফ বলেন, বিএনপি বুধবার নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা করে আবার প্রমাণ করেছে, তারা সন্ত্রাসী দল, দেশের আইন মানে না, শান্তিতে বিশ্বাস করে না।
‘তাদের নেত্রী সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাকি আসবেন সমাবেশে, পলাতক তারেক রহমানও নাকি বীরের বেশে ফিরে আসবেন। কেনরে ভাই? দেশে সরকার আছে, আইন আছে, সংবিধান আছে। আপনারা যা খুশি বলবেন, তাই হবে?’
তিনি বলেন, তারা জোসে হুশ হারিয়ে ফেলছে। এভাবে হুশ হারালে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী মতো পরিণতি হবে, হয়েছেও। এখনই অনেকে হাত-পা ধরা শুরু করেছে। স্পষ্ট বলতে চাই, এই দেশ চলবে শেখ হাসিনা নেতৃত্বে। বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা আবারও নৈরাজ্য শুরু করেছে। তাদের প্রতিবাদ নয়, প্রতিহত করতে হবে। যে লাঠি দিয়ে আঘাত করবে, সেটি দিয়েই তাদের কুপোকাত করতে হবে। যেই হাতে আগুন দিতে আসবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। প্রমাণ করতে হবে এ বাংলাদেশ শেখ মুজিবের আদর্শের সন্তানদের বাংলাদেশ।।
তিনি বলেন, যারা আমাদের বলেছে, পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। যারা সন্ত্রাসীদের ভাষায় কথা বলে। যারা সংবিধানকে পদদলিত করেছে। সেই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে আবার নৈরাজ্য শুরু করেছে। তাদের প্রতিবাদ নয়, প্রতিহত করতে হবে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘কালকে (শনিবার ) রাজপথে থাকবো আমরা। আজকে যারা হুঙ্কার দেয়, শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করবে, সরকারের পতন করে ফেলবে। আজকে ৯ তারিখ, কাল ১০, এদিন আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো নেতাকর্মী যেন রাস্তায় না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। পাড়া-মহল্লায় পাহারা দিতে হবে। কাল যে রাস্তায় নামবে, আর সন্ত্রাসী করবে, যেখানে যাকে পাইবো মুড়াইয়া ঠিক কইরা হালামু।’ ##