* রাজধানীতে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা
মিরর বাংলাদেশ : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সফরে বিএনপি নেতাদের আশা পূরণ হয়নি। বিএনপির নেতারা আশার মালা গেঁথে প্রহর গুনেছেন কখন আসবেন উজরা জেয়া, কখন আসবেন ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা। কিন্তু তারা এসে চলে গেলো। বিএনপি যা শুনতে চেয়েছিল, তাদের চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাদের মধ্যে এখন আর আনন্দ নেই। বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
বুধবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তেজগাঁও ৭ রাস্তা মোড় থেকে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা নিয়ে মহাখালীর দিকে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ প্রতিনিধিরা বলেছেন- তত্ত¡াবধায়ক আমাদের প্রয়োজন নেই, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চাই। বিএনপির আশা পূরণ হয়নি। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে হবে, সেটাই তাদের জ্বালা।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানসম্মান থাকতে আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে আসুন। অন্যথায় মানসম্মান থাকবে না।
নিজ দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তরুণতুর্কিরা হুট করে মাথা গরম করবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। যত শান্তি বজায় থাকবে আমাদের ভোট বাড়বে। বিএনপি এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে। নির্বাচন করবেন এটা আপনাদের অধিকার। কিন্তু বাধা দিতে আসবেন? আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করবো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বাংলাদেশে আজ দফা একটা, ¯েøাগান একটা- শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে এটাই তাদের জ্বালা। এমনিতে তাদের পদ্মাসেতুর জ্বালা, মেট্রোরেল তাদের সহ্য হয় না। হায়রে জ্বালা! অন্তর জ্বালা! অন্তর জ্বালায় মরে কে? বিএনপি। খেলা হবে ডিসেম্বরে। তৈরি হয়ে যান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের বলব আপনারা মান-সম্মান ধরে রাখতে চাইলে আন্দোলন রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা সাতটি আসন পেয়েছেন। এবার কী হবে আল্লাহ জানে! বিএনপির কি ভোট আছে?
তিনি বলেন, জনতার ঢল দেখতে চাইলে বিএনপি নেতাদের বলছি আপনারা সাতরাস্তায় আসুন। জনতার ঢল কাকে বলে দেখে যান। শুধু মানুষ আর মানুষ। লাখ লাখ লোকের সমাবেশ। এ এক অভূতপূর্ব বিস্ময়। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন সারা বাংলায় ¯েøাগান একটিই– শেখ হাসিনা বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ কী চায়, কাকে চায়? শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আসল খবর হচ্ছে বিএনপি নেতারা আশার মালা গেঁথে ঘর বুনেছে, কখন উজরা জেয়া (যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি) আসবেন। কখন আসবেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। বিএনপি আশার মালা গেঁথে বসে ছিল। ইউরোপের প্রতিনিধিরা এলেন, তারা এখনো যাননি। মার্কিন প্রতিনিধিরা এসে চলে গেল। অথচ বিএনপি তাদের মুখে যা শুনতে চেয়েছিল তারা তা বলেনি। এখন বিএনপি নেতাদের চোখ-মুখ আতঙ্কে শুকিয়ে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের আমেরিকা বলে গেছে যে, বাংলাদেশের নিয়ম ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। একই কথা ইউরোপের প্রতিনিধিরাও বলেছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে একদিকে জনগণের শক্তি এবং আরেকদিকে বিএনপির সন্ত্রাস আর অস্ত্র। রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন সন্ত্রাসী কর্মকাÐের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। নির্বাচনে না আসা সেটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু নির্বাচনে বাধা দিতে এলে আমরা জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করব। বিএনপির এক দফা ও এক দাবি ভুয়া। তাদের ২৭ দফা ভুয়া। ৫৪ দল ভুয়া, বিএনপির জোট ভুয়া। বাংলার জনগণ বিএনপির ভুয়া রাজনীতি চায় না।