সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার আমি পক্ষপাতী নই : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

183
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোটার্স

মিরর বাংলাদেশ  : রাষ্ট্র পরিচালনায় সাংবাদিকদের অপরিহার্যতা সম্পর্কে উল্লেখ করতে গিয়ে সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার আমি পক্ষপাতী নই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কর্তৃক আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোটার্স’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনার প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকেরা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাধ্যমে সেটা বিতরণ করেন। তাতে করে আমরা যারা দায়িত্বে আছি, তারা সতর্ক হওয়ার একটা সুযোগ পাই। ভুল ত্রুটি নিরূপণ করার একটা সুযোগ পাই। কখনো কখনো হয়তো বিভিন্ন খবরাখবর এমনভাবে উপস্থাপন হয়, যা অতিরঞ্জিত। যেখানে হয়তো সত্য তথ্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে। এ রকম বিষয়কে আমরা নিরুৎসাহিত করি। আমি মনে করি, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেও এরকম বিষয়গুলোতে একটা ব্যবস্থাপনা থাকা উচিত।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় যেমন রাজনীতিবিদদের প্রয়োজন আছে, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আমলার প্রয়োজন আছে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকদেরও প্রয়োজন আছে। ভুল, ত্রুটি এবং বিচ্যুতি পরিহার করে, আমি সাংবাদিকতার উন্মুক্ত ব্যবহারকে স্বাগত জানাই।
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, আমরা ২০১৯ সাল থেকে মূলত ডেঙ্গুর তীব্রতা এবং এর প্রভাব প্রত্যক্ষ করছি। শুধু আমরা নই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতও অনেক আগে থেকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। আমরা যেহেতু পরে আক্রান্ত হয়েছি, কাজেই আমাদের সুযোগ ছিল এসব দেশের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার। আমরা সেটা করেছি। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তারা যা করেছে সব পদ্ধতি আমলে নিয়ে আমরা কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি। এছাড়াও, ইতোমধ্যে আমি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকেও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যেমন সিংগাপুর ইউনিভার্সিটি, মিয়ামি ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটির সাথে ভার্চুয়ালি সভাও করেছি। মোটকথা, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে একটি বিস্তৃত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ সঞ্চালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন। ****