চব্বিশের জুলাই-আগষ্ট গণ-অভ্যুত্থানে সহিংসতার ঘটনায় ১৭৩৫ মামলা

166

* এজাহারনামীয় আসামী এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৬
*  গ্রেফতার এ যাবত ২১ হাজার ৮৫৪
* হত্যা মামলা ৭৫০, অন্যান্য ঘটনায় মামলা ৯৮৫
* চার্জশিট হয়েছে ১৯ টি মামলার
* রাজধানীতে ৭১০ মামলা, গ্রেফতার ৫০৭৯ জন

iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
hatay escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
antakya escort,
antakya escort,
bursa escort,
görükle escort,
bursa escort,
bursa escort,
hatay escort,
diyarbakır escort,
diyarbakır escort,
diyarbakır escort,
elazığ escort,
elazığ escort,
elazığ escort,
arsuz escort,
arsuz escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
adana escort,
adana escort,
adana escort,
adana escort,
adana escort,
adana escort,
malatya escort,
malatya escort,
eskişehir escort,
eskişehir escort,
manisa escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
izmit escort,
ısparta escort,
ankara escort,
ankara escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
gaziantep escort,
seks hikayeleri,
erotik hikayeleri,
erotik seks hikayeleri,
sakarya escort,
sakarya escort,
sakarya escort,
van escort,
van escort,
mersin escort,
mersin escort,
istanbul escort,
izmir escort,
izmir escort,
samsun escort,
konya escort,
konya escort,
konya escort,
konya escort,
konya escort,
erzurum escort,
erzurum escort,
malatya escort,
alanya escort,
rent a car chisinau,
Chirie Auto Chisinau,
chirie auto chisinau
chirie auto,
porno izle,
porno,
porno izle,
turk porno,
sikis izle,
porna,
xhamster,
rus porno,
anal porno,
porno seyret,
tük porno,
amatör porno,
liseli porno,
hd porno,
sarışın porno,
mobil porno,
xnxx porno,
Eskişehir escort,
izmir escort,
erzurum escort,
erzurum escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
iskenderun escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
denizli escort,
antalya escort,
denizli escort,

তোফাজ্জল হোসাইন কামাল : চব্বিশের জুলাই-আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে এক হাজার ৭ শত ৩৫ টি। যাতে এজাহারনামীয় আসামী রয়েছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৩৬ জন। এর বাইরে অজ্ঞাতনামাসহ মোট আসামীর সংখ্যা ৩ লাখের বেশি । এসব মামলার মধ্যে হত্যা মামলাই ৭ শত ৫০ টি। বাকী ৯ শত ৮৫ টি মামলা অন্যান্য ঘটনায়। এর মধ্যে এ যাবত ১৯ টি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে আদালতে। যার মধ্যে হত্যা মামলা ৬টি এবং অন্যান্য ধারায় ১৩টি মামলা রয়েছে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এ পরিসংখ্যান পুলিশ সদর দফতরের একাধিক সুত্রে জানা গেছে।
পুলিশ সদর দফতর সুত্র জানায়, দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে কোনটি থানায় আবার কোনটি আদালতে হয়েছে। এসব মামলা থানা পুলিশের বাইরে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট তদন্ত করছে। তবে, বেশিরভাগ মামলাই তদন্ত করছে থানা পুলিশ। সুত্র মতে, ১৮৭ টি স্পর্শকাতর হত্যা মামলা তদন্ত করছে বিভিন্ন ইউনিট। এর মধ্যে অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি করছে ৬৫ টি হত্যা মামলার তদন্ত, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন-পিবিআই করছে ৬৪ টি হত্যা মামলার তদন্ত, এন্টি টেরোরিজম ইউনিট-এটিইউ করছে ৪৯ হত্যা মামলার তদন্ত ও এলিট ফোর্স র‌্যাব করছে ৯ টি হত্যা মামলার তদন্ত।
পুলিশ সুত্রের দাবী, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকালে দায়েরকৃত মামলার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা মামলাসমূহ তদারক করছেন। দায়ের করা অন্য সব মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে বলেও দাবী করে পুলিশ সদর দফতর।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ঘিরে হওয়া ১ হাজার ৭৩৫ মামলার মধ্যে ৭৫০ টি হচ্ছে হত্যা মামলা। এসব মামলা বিশেষভাবে তদারকি করছে পুলিশ সদর দফতর। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ টি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। পর্যায়ক্রমে এসব মামলার প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
হত্যা মামলাগুলো হয়েছে মূলত: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় নির্বিচার গুলি ও হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করার ঘটনায়। বাকীগুলো হয়েছে অন্যান্য ধারায়।
সুত্র জানায়, এ যাবত রুজু হওয়া ৭৫০ টি হত্যা মামলার মধ্যে দেশের ৩৩ টি জেলায় হয়েছে ২৬৫টি। বাকী ৪৮৫ টি হয়েছে ৬ টি মেট্রোপলিটন এলাকায়। অন্যান্য ধারায় হওয়া ৯৮৫ টি মামলার মধ্যে ৫০৯ টি হয়েছে ৫৭ জেলায়। বাকী ৪৭৬ টি মামলা হয়েছে ৮ টি মেট্রোপলিটন এলাকায়। বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জসহ এই ৫ টি জেলায় কোন মামলা রুজু হয়নি জুলাই আগষ্টের গনআন্দোলনের ঘটনায়।
সুত্র মতে, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় হওয়া ৭১০ টি মামলার মধ্যে হত্যা মামলা ৪৪১ টি, বাকী ২৬৯ টি হচ্ছে অন্যান্য ধারায়। এই এলাকার মামলাগুলোর মধ্যে ৪১ টি মামলা সিআইডি, ৫২ টি মামলা পিবিআই, ৪৯ টি মামলা এটিইউ ও ৯ টি মামলা র‌্যাব তদন্ত করছে। ঢাকা বিভাগের ১৩ টি জেলায় দায়ের হওয়া ৩৫৯ মামলার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, হত্যা মামলার সংখ্যা ১৮১ টি, অন্যান্য মামলা ১৭৮ টি। এই বিভাগের মামলাগুলোর মধ্যে সিআইডির হাতে তদন্তের জন্য রয়েছে ১২ টি, পিবিআইর হাতে ৪ টি। ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ টি জেলায় দায়ের হওয়া ২৫ টি মামলার মধ্যে ১০ টি হত্যা মামলা, বাকী ১৫ টি অন্যান্য ধারায়। সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় দায়ের হওয়া ৭৪ টি মামলার মধ্যে ১৫ টি হত্যা মামলা। বাকী ৫৯ টি অন্যান্য ধারায় দায়ের হওয়া মামলা। এর মধ্যে সিআইডি তদন্ত করছে ৬ টি মামলা, পিবিআই করছে ২ টি মামলা। সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় দায়ের হওয়া ৭৮ টি মামলার মধ্যে হত্যা মামলা ৩ টি, অন্যান্য ধারায় হয়েছে ৭৫ টি মামলা। এর মধ্যে সিআইডি ও পিবিআই একটি করে মামলার তদন্ত করছে। রংপুর বিভাগের ৮ টি জেলায় মামলা হয়েছে ৭১ টি। তার মধ্যে হত্যা মামলা ১১ টি, বাকী ৬০ টি মামলা অন্যান্য ধারায়। এর মধ্যে ৩ টি মামলা পিবিআই তদন্ত করছে। রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় দায়ের হওয়া ২১ টি মামলার মধ্যে ৭ টি হত্যা মামলা। বাকী ১৪ টি অন্যান্য ধারায়। এর মধ্যে সিআইডি তদন্ত করছে ৪ টি মামলা, পিবিআই করছে ২ টি মামলার তদন্ত। গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় দায়ের হওয়া ৪৫ টি মামলার মধ্যে ১৮ টি হত্যা মামলা, বাকী ২৭ টি অন্যান্য ধারায়। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলায় মামলা হয়েছে ৯৬ টি। এর মধ্যে হত্যা মামলা ২০ টি, অন্যান্য ধারায় মামলা ৭৬ টি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় মামলা হয়েছে ৬৩ টি। এর মধ্যে হত্যা মামলা ১৪ টি, অন্যান্য ৪৯ টি। একটি মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। রাজশাহী বিভাগের ৮ টি জেলায় মামলা হয়েছে ৯০ টি। এর মধ্যে হত্যা মামলা ২০ টি, অন্যান্য ৭০ টি। রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় দায়ের হওয়া ২৯ টি মামলার মধ্যে হত্যা মামলা ২ টি। বাকী ২৭ টি মামলা অন্যান্য ধারায়। খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলায় মামলা হয়েছে ৫৮ টি। এর মধ্যে হত্যাপ মামলা ১০ টি, বাকী ৪৮ টি অন্যান্য ধারায়। খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় মামলা হয়েছে ৬ টি, তবে কোন হত্যা মামলা নেই। বরিশাল বিভাগের ২ টি জেলায় কোন হত্যা মামলা নেই। ৩ টি মামলা হয়েছে অন্যান্য ধারায়। বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় মামলা হয়েছে ৭ টি অন্যান্য ধারায়। হত্যা মামলার শীর্ষে থাকা জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ৭৮ টি ঢাকা জেলায়, তারপরে নারায়নগঞ্জে ৪৮ টি, গাজীপুরে ২৪ টি, নরসিংদীতে ১৯ টি, সিলেটে ১১ টিউল্লেখযোগ্য।
সুত্র জানায়, গণ-অভ্যুত্থান ঘিরে হওয়া মামলা তদারকে বিশেষ মনিটরিং দল গঠন করে পুলিশ সদর দফতর। বর্তমানে সারা দেশে ১০টি ‘মেন্টরিং অ্যান্ড মনিটরিং’ দলের মাধ্যমে মামলাগুলো তদারক করা হচ্ছে। এর মধ্যে আট বিভাগে আটটি, রাজধানীতে একটি ও গাজীপুরের জন্য একটি দল করা হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) প্রতিটি মনিটরিং দল নিয়ে বৈঠকে বসে মামলাগুলো বিশ্লেষণ করছেন। এ যাবত ৮৬ টি বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। তা ছাড়া ঢালাও বা হয়রানিমূলক আসামি করার বিষয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করতে প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) সমন্বয়ে এবং মহানগরের ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনারের সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। এসব কমিটি তদন্তে অগ্রগতির বিষয়গুলোও পর্যবেক্ষণ করছে। এতে বেশ কিছু মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
রাজধানীতে ৭১০ মামলা, গ্রেফতার ৫০৭৯ জন
আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টা অভিযোগে ৫ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত রাজধানীর ৫০ থানায় মামলা দায়ের হয় ৭১০ টি। এ সব মামলায় আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির শীর্ষস্থানীয় কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে। মামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি মমতাজ বেগম, এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, আব্দুস সোবহান গোলাপ, আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশাসহ ৫ হাজার ৭৯ জন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। গ্রেফতার হন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি মো. শহিদুল হক ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ২৩ জন পুলিশ সদস্য। গ্রেফতারকৃত অপর পুলিশ সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া (৬৪), সাবেক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম (৫২), সাবেক ডিসি তানভির সালেহীন ইমন, সিলেটের সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান (৪৬), সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (৪৪), ডিবি লালবাগ জোনের সাবেক ডিসি মশিউর রহমান (৪৮), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ধানমন্ডি জোন) আব্দুল্লাহ হিল কাফি (৩৯), সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. তানজিল আহমেদ (৩৭), এডিসি (বর্তমানে এসপি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. শাহেন শাহ (৪১), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জুয়েল রানা (৪৩), সাবেক গুলশান থানার ওসি বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম (৫৮), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আপেল উদ্দিন (৩৯), সহকারি পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ) মো. ইফতেখার মাহমুদ (৩৪), যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসান (৫২), ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মাজহারুল ইসলাম (৪৯), এসআই (নিরস্ত্র) মো. সাজ্জাদ-উজ-জামান (৩৬), নায়েক সজিব সরকার (২৭), কনস্টেবল সুজন হোসেন (২০), শোয়াইবুর রহমান ও মো. বায়োজিদ বোস্তামী (২০)।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আলোচিত যাঁরা
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য আছেন ১৭ জন। তাঁরা হলেন আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আমির হোসেন আমু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, কামরুল ইসলাম, শামসুল হক, আতিকুল ইসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনাইদ আহ্মেদ পলক ও এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।
সশস্ত্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক সদস্যদের মধ্যে অন্তত ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েল, পুলিশের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্যা নজরুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার ইশতিয়াক আহমেদ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক সহকারী কমিশনার জাবেদ ইকবাল, রাঙামাটি ট্রেনিং সেন্টারের সাবেক পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা, মিরপুর বিভাগের সাবেক এডিসি মইনুল ইসলাম, বরিশাল রেঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক এসি তানজিল আহমেদ, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম, উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি মো. মুজিবুর রহমান, ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মোহাম্মদ আরশাদ হোসেন, সাবেক উপপরিদর্শক চঞ্চল চন্দ্র সরকার ও মালেক, সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ইমাজ হোসেন, মো. নাসিরুল ইসলাম, মো. সুজন হোসেন, মুকুল চোকদার, হোসেন আলী ও মো. আকরাম হোসেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের (এখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ সংগঠন) নেতা ইমরান চৌধুরী প্রমুখ গ্রেপ্তার আছেন।
পলাতক আসামিদের মধ্যে একটি অংশ বিদেশে চলে গেছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, হাছান মাহমুদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, বেনজীর আহমেদকে ফিরিয়ে আনতে তাঁদের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করে সরকার।
পলাতক যত
পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, হাছান মাহমুদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, বেনজীর আহমেদ, হাসান মাহমুদ খন্দকার, মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও ইমরান এইচ সরকার। এ ছাড়া পলাতক রয়েছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, মেহেদী হাসান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল প্রমুখ।