নারায়ণগঞ্জের ১৯টি এলাকা করোনার রেড জোন চিহ্নিত

518

মিরর প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ :

নারায়ণগঞ্জ জেলার ১৯টি এলাকাকে করোনা ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ (রেড জোন)’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ তালিকাসহ একটি সুপারিশ পত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার ‘রেড জোন’ এলাকা চিহ্নিত করার পর এই ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে বিষয়টি জানা গেছে।
জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম আজ বুধবার সকালে জানান, জেলার কিছু এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
তিনি আরও জানান, ইতিপূর্বে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে জেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নকে আমরা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রস্তাব পাঠানোর পর ওই এলাকা লকডাউন করার নির্দেশ আসে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার আমরা পুরো জেলার ‘রেড জোন’ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশপত্র পাঠিয়েছি।
জানা গেছে,
সুপারিশ তালিকার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলারও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রয়েছে। এসব এলাকায় পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনার জন্য করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির কাছে সুপারিশও পাঠানো হয়েছে।

চিহ্নিত এলাকা গুলোর মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটির সাতটি ওয়ার্ড, সদরের দুইটি, বন্দরের একটি, সোনারগাঁয়ের দুইটি, আড়াইহাজারের তিনটি ও রূপগঞ্জের চারটি এলাকা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এই সুপারিশপত্রে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ৩নং ওয়ার্ড, এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, সোনারগাঁ উপজেলার আমিনপুর ৩নং ওয়ার্ড, মুগড়াপাড়ার ১নং ওয়ার্ড,আড়াইহাজার উপজেলার আড়াইহাজার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, হাইজাদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, ব্রাম্মন্দি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব ইউনিয়নের ২নং ও ৩নং ওয়ার্ড, কাঞ্চন পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড ও ভুলতা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১, ২, ৮, ১২, ১৩, ১৮, ও ২৪ নং ওয়ার্ড রোড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, কোনটার-ই সম্পূর্ণ ওয়ার্ড নয়। অনুমোদন পেলে জানানো হবে কোন জায়গা থেকে কোন পর্যন্ত লকডাউন হবে।