নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরনে দ্বগ্ধ ৬০ নিহত ১

469

নুসরাত কামাল ওহি    :

নারায়ণগঞ্জের  তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত নামের  একটি মসজিদে এসি বিস্ফোরণে প্রায় ৬০ জন মুসল্লি দ্বগ্ধ   হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন। নিহতের নাম আবদুল হান্নান  (৫৫)  ।তিনি মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি।

হান্নানের দুর সম্পর্কের ভাই দেলোয়ার হোসেন তার বন্ধু সোহেলের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

দ্বগ্ধদের মধ্যে ৩৭ জনকে ঢাকা  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের কারো    শরীরের ৯০ ভাগ কারো ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। অনেকের অবস্থা আশংকাজনক  বলছেন ডাক্তাররা।

জানা গেছো, শুক্রবার বাদ এশার নামাজের জামাতের পর সব মুসল্লিরা  যখন মোনাজাত ধরেন ঠিক সেই মুহুত্বে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে একাধিক এসি। মুহুত্বের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো মসজিদে। একে একে মুসল্লিদের শরীর ঝলসে যায়। শুরু হয় করুন আত্ম নাদ। যে যেভাবে পারছে বের হয় মসজিদ থেকে।আশ্বেপাশ্বের লোকজন ছুটে এসে দ্বগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে

নারায়ণগঞ্জ ১শ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে
৩৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়। এর মধ্য হাসপাতাল নেয়ার পথে মারা যান মসজিদের সেক্রেটারি আবদুল হান্নান( ৫৫)
জানা গেছে, ফতুল্লার তল্লা এলাকায় শুক্রবার এশার নামাজ জামাতে আদায় করছিলেন বায়তুল সালাত জামে মসজিদের মুসল্লিরা।
জামাত শেষের পর ইমাম মোনাজাত ধরেন।হঠাৎ করে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে বিকট শব্দে। মুহুত্বের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে যায় পুরো মসজিদে। বিস্ফোরনে মসজিদের কাচ গুলো ভেঙ্গে টুকরো হয়ে যায়।ফ্যান গুলো বাকা হয়ে যায়। দ্বগ্ধ মুসল্লিদের বের করার পর পুরো ফ্লোরে ছিল রক্তের ছোপ।
নারায়ণগঞ্জ ১ শয্যা হাসাপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার নাজমুল হোসেন নয়াদিগন্তকে জানান, গুরুতর অবস্থায় ৩৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের ৭০ ভাগই পুড়ে গেছে।
তিনি জানান,রাত ৯ টার পর থেকে একের পর এক দ্বগ্ধ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের অনেকের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। এত রোগি হাসপাতালে নিয়ে আসার ঘটনা আগে ঘটেনি বলে জানান তিনি।

 


স্থানীয় কাউন্সিলর জমশের আলী মন্টু নয়াদিগন্তকে জানান,হঠাৎ বিস্ফোরণের পর ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি একের পর এক লোকজন পড়ে আছে। সকলেই দ্বগ্ধ। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেই।
এদিকে কিভাবে বিস্ফোরণের সুত্রপাত তা নিয়ে ২ ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে, কেউ কেউ বলেছেন, মসজিদের প্রবেশপথে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ ঘটে আগুনের সুত্রপাত
আবার কেউ বলছেন,মসজিদের নিচ দিয়ে নেয়া গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান,ওই মসজিদের নিচ দিয়ে গ্যাসের পাইপ লাইন নেয়া হয়েছে। সেই পাইপ ছিদ্র হয়ে গ্যাস নির্গত হচ্ছিল। পুরে মসজিদ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় গ্যাস জানালা দিয়ে বাহিরে বের হতে পারেনি।
ওই অবস্থায় কেউ মসজিদের ভেতরে এসি অথবা ফ্যানের সুইচ বন্ধ করার সময় সৃস্ট ছোট্র স্পার্ক থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে এতে মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায়।এবং মুসল্লিরা দ্বগ্ধ হয়। ##