না‘গঞ্জে এক ঘরে ২ বোনকে ধর্ষণ

414

*  ভুক্তভোগীদের ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড

মিরর প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ:
প্রেমের পর বিয়ের আশ্বাস। কৌশলে ডেকে নিয়ে এক ঘরে ‘ধর্ষিতা’ হওয়ার বর্ণনা দিয়েছে দুই বোন। তাদের দু’জনেরই বয়স ১৩ বছরের কম ও ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় সেই জবানবন্দী রেকড করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- জয় মিয়ার ছেলে রিফাত (১৯) ও রমিজ উদ্দিন ওরফে রমু’র ছেলে রিফাত (১৯)। তারা দু’জন একে অপরের বন্ধু। বন্দর থানার ফুলহর এলাকার বাসিন্দা।
দুই বোন জানান, ২ মাস পূর্বে রিফাত নামের ওই দুই যুবকের সাথে পরিচয় হয়। এরপর মুঠোফোনে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। ২১ সেপ্টেম্বর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ২ বোনকে নবীগঞ্জে আসতে বলে। পরে নবীগঞ্জের একটি বাড়িতে ১৫০০ টাকার বিনিময়ে ঘর ভাড়া নিয়ে উঠেন। সেখানেই দুই বন্ধু মিলে দুই বোনকে ধর্ষণ করেছেন। এরপর আরও দু’দিন সেখানে বিয়ে ছাড়াই অবস্থান করেছেন। এরপর জয় মিয়ার ছেলে রিফাতের মা হওয়ার বেগমের কাঁচপুরের বাড়িতে রেখে এসেছেন দুই মেয়েকে।
ঘটনাটিতে পৃথক দু’টি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে বন্দর থানায়। গতকাল সেই মামলায় বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন ভিকটিমেরা। তবে, এই মামলার আসামিরা এখনো পলাতক রয়েছে।
এবিষয়ে বাদী মো. জহীর বলেন, দুই মাস আগে কোন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আসামিদের সাথে পরিচয় হয় আমার মেয়ে ও ভাগ্নির সাথে। সে থেকে তার মধ্যে ফোনের মাধ্যমে ওই যোগাযোগ ছিল। সেই সূত্র ধরে ওই আসামিরা আমার মেয়ে ও ভাগ্নিকে বিবাহের আশ্বাস দিয়ে কৌশলে তাদের নিয়ে যায়। এরপর তাদের ধর্ষণ করে রিফাতের মা হাওয়া বেগমের বাসায় এনে রেখে তারা পালিয়ে যায়