গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান থেকে গ্রেফতার হলো ‘ধর্ষক বর’

625

মিরর প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ : এক তরুণীর সাথে চার বছরের প্রেম ইসতিয়াক আহমেদ (৩০)। এই সূত্রে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। এক সময় ঐ তরুনী বিয়ের কথা বলে। কিন্তু ইসতিয়াক ঐ তরুনীকে জানায় তার পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নিবে না। বরং তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছে।
শুক্রবার ইশতিয়াকের বিয়ের দিনক্ষন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু গায়ে হলুদের মঞ্চ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ঐ তরুনীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয় ইসতিয়াক।
শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে যায় সে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকায়। গ্রেপ্তারকৃত ইসতিয়াক ওই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।
বাদী অভিযোগ করেন ইসতিয়াকের সাথে তার চার বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে প্রেমিক ইসতিয়াক দৈহিক সম্পর্ক করে। সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে দেওভোগ নাগবাড়ীর জিকুদের চারতলা বাড়ীর তৃতীয় তলার দক্ষিণ পার্শ্বে প্রেমিক ইসতিয়াক আহম্মেদের ভাড়া বাসায় তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বললে ইসতিয়াক নানা টালবাহানা করে কালক্ষেপন করে অন্যত্র বিয়ে করার পায়তারা করে। ১৪ অক্টোবর তরুনী জানতে পারে ইসতিয়াক অন্যত্র বিয়ে করছে। পরে বৃহস্পতিবার ফতুল্লা মডেল থানায় গিয়ে সে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
তবে প্রেমিক ইসতিয়াকের দাবী, তরুনীর সাথে তার গত তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এ তিন বছরে প্রেমিকাকে নিজ বাসায় উভয়ের সম্মতিতে দুই বার শারীরিক মেলামেশা হয়। সে সাথে তার সম্পর্কের বিষয়টি বাবা-মাকে জানায়। কিন্তু বিষয়টি তার বাব-মা মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে। বিষয়টি সে তার প্রেমিকা অবগত করে। বৃহস্পতিবার ছিলো তার গায়ে হলুদ আর শুক্রবার বরযাত্রী।
ফতুল্লা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটির অভিযোগ পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ইসতিয়াককে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।