মিরর বাংলাদেশ :
পেশাদার সাংবাদিকদের সর্বোবৃহৎ সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাচনে ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন সাংবাদিকদের প্রিয়মুখ সাবেক ক্রিকেটার, আম্পেয়ার ও ক্রীড়া সংগঠক মাকসুদা লিসা ও সাংবাদিকদের আরেক প্রিয় মানুষ ক্রীড়া সাংবাদিক মো: মজিবুর রহমান। ক্রীড়া সম্পাদক পদে বিজয়ী হতে দুইজনই চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণপন চেষ্টা। দুইজনই ভোটারদের কাছে তাদের আবেদন রেখেছেন নিজ নিজ কৌশল অনুযায়ী। ডিআরইউর ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হতে ভোটারদের কাছে একটিবার সুযোগ চান মাকসুদা লিসা। অন্যদিকে আরেকবার ক্রীড়া সম্পাদক থাকার জন্য ভোটের আবেদন মো: মজিবুর রহমানের।
মাকসুদা লিসা :
ডিআরইউর সদস্যদের কাছে প্রিয়মুখ মাকসুদা লিসা। তিনি একজন তুখোড় ক্রীড়া সাংবাদিক । এছাড়া তিনি
সাবেক ক্রিকেটার, আম্পেয়ার ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে বেশ পরিচিত। মাকসুদা লিসা ১৯৯৮ সালে
দৈনিক প্রাইম পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে সাংবাদিকতার জগতে পা রাখেন। পরবতী পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন দেশের প্রতিষ্ঠিত দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, জনতা, মানবজমিন, প্রভাতবেলায়। অনলাইন মিডিয়া এসবিসি ৭১, ঢাকা ক্রাইম নিউজে। এছাড়া রয়েছে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ ভিত্তিক অনুষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা। বর্তমানে কাজ করছেন ইংরেজি দৈনিক ভয়েস অব এশিয়ায়।
মিরর বাংলাদেশকে মাকসুদা লিসা জানান, আমি একজন সাবেক খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রিকেট আম্পায়ার এবং লেভেল ওয়ান(আপডেট) কোচ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সংগে আন্তর্জাতিক ইভেন্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। প্রাণের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে একটিবার সুযোগ কাজ করার সুযোগ চাই।
তিনি জানান, পেশাদার সাংবদিকদের সংগঠন ডিআরইউতে আমি সদস্যপদ লাভ করি ২০০৪ সালে বাংলাবাজার পত্রিকায় কর্মরত অবস্থায়। দীর্ঘ পথচলায় সংগঠনের সদস্যদের পাশাপাশি থেকে কাজ করেছি।বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছি। আমি ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ। মাঠের সংঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক। রয়েছে ভালবাসা ও বন্ধন। একজন ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে আমি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নির্বাচনে ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্ধিতা করছি। ভোটারা আমাকে মুল্যায়ণ করবেন এমন প্রত্যাশা আমার।
তিনি জানান, পেশাদার সাংবাদিকদের কাজের চাপ বেশী। খুব কম সময় পান আনন্দ ও মনোরঞ্জনের জন্য। খেলাধুলা দেহ-মনকে সতেজ রাখে। খেলাধুলা করা দেহের জন্য যেমন দরকারি তেমনি মনের সুস্থতায়ও উপকারী। ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে আমার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচিত হলে সদস্যদের জন্য নির্ধারিত আয়োজন সম্পূর্ণ করা। এর বাইরে আরো একটি ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানান, নির্বাচিত হলে , সদস্যদের জন্য ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো। ক্রীড়া সরঞ্জাম বৃদ্ধি করা। সদস্যদের জন্য ছোট পরিসরে ফিটনেস সেন্টার চালু করা। নারী সদস্যদের খেলাধুলার ইভেন্ট আলাদা আয়োজন ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।
সদস্য সন্তানদের (ছেলে/মেয়ে) জন্য সাঁতার,ক্রিকেট, তায়কোয়ান্দো, জুডোসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। সদস্যদের স্বামী/স্ত্রীদের জন্য ক্রীড়া বিনোদনের ব্যবস্থা করবো।
মিরপুর শেরে ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম উদ্ভোধন করা হয়েছিল বিসিসিবি নারী ক্রিকেটারদের ফ্রেন্ডলী ক্রিকেট ম্যাচ দিয়ে। মাকসুদা লিসা ছিলেন সবুজ দলের অধিনায়ক।
মাকসুদা লিসা রাষ্ট্র বিজ্ঞান, এম.এ ইডেন মহিলা কলেজ। এল.এল.বি, ঢাকা ল’ কলেজ ডিগ্রী অর্জন করেন।
ভোটারদের কাছে মাকসুদা লিসার আবেদন , আপনাদের হাতেই প্রার্থীর সৌভাগ্য লিখিত হবে। আমি আপনাদের সহকর্মী। আমি আশা নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াই। আমাকে একবার ক্রীড়া সম্পাদক হবার সুযোগ দেবেন। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে আপনারা বিচক্ষণ। সঠিক সিদ্ধান্তে সঠিক প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন প্রত্যাশা রাখি। আমি মানুষ, আমার ভুলক্রটি আছে। সবকিছু সুন্দরভাবে নেবেন।
মো: মজিবুর রহমান :
ডিআরইউর সদস্যদের কাছে প্রিয় মানুষ মো: মজিবুর রহমান ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
ডিআরইউর গুরুত্বপূর্ন পদ ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে ইতোপূর্বে তার রয়েছে বেশ সুনাম। তিনি একাধারে পরিশ্রমি হিসেবে সদস্যদের কাছে বেশ পরিচিত। ক্রীড়াঙ্গনে রয়েছে বেশ পরিচিতি।
১৯৯৫ সালে দৈনিক সোনালী বার্তার পত্রিকায় ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে মো: মজিবুর রহমান সাংবাদিকতা জগতে পা রাখেন । পরবর্তিতে একধিক জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি দৈনিক কালবেলা পত্রিকার ক্রীড়া বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডিআরইউর সদস্যদের কল্যাণে মজিবুর রহমানের অবদান অনেক। বিশেষ করে খেলাধুলার বিভিন্ন ইভেন্ট সম্পুর্ণ করার জন্য তার ত্যাগ, শ্রম সদস্যদের কাছে স্মরনীয়। ডিআরইউতে ইতোপূর্বে তিনি একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ৩ বার(২০১৬,২০১৭,২০২০) ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইতোপূর্বে তিনি ডিআরইউর সাংস্কৃতিক সম্পাদক,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকও কার্যনির্বাহি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মিরর বাংলাদেশকে মো: মজিুবর রহমান জানান, ভোটাররা আমার শ্রম ও ত্যাগের মুল্যায়ণ করবেন।আমি সদস্যদের কল্যাণে অনেকে কাজ করেছি। ক্রীড়ায় আমার অবদানের কথা সদস্যরা জানেন। আমি আশাবাদী আরেকবার আমাকে ভোটাররা এপদে ভোট দিয়ে আগামীতে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দিবেন।
মজিবুর রহমান বলেন, আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, স্বপ্ন দেখি ডিআরইউ’র ক্রীড়ায় নতুন নতুন ইভেন্ট ও প্রশিক্ষণ আয়োজন করার এবং তা বাস্তবায়ন করার। প্রিয় সদস্য আপনার সহযোগিতা ও ভালোবাসায় নির্বাচিত হলে আপনাদের জন্য আয়োজন করবো ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল, ভলিবল ও কাবাডি প্রতিযোগিতার। আপনাদের প্রিয় ইভেন্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে শুরু হবে খেলাধূলা।
তিনি বলেন,আমি নির্বাচিত হলে আরো থাকবে ইন্ডোর গেমসে পুরুষ সদস্যদের জন্য দাবা, ক্যারম, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, আরচ্যারি, শ্যুটিং, গোলক নিক্ষেপ, ১০০ মি. স্প্রিন্ট, ম্যারাথন, কলব্রীজ, ব্রীজ ও সাঁতার।
নারী সদস্যদের জন্য থাকবে দাবা, ক্যারম, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, আরচ্যারি, শ্যুটিং, গোলক নিক্ষেপ, মিনি ম্যারাথন ও সাঁতার। সদস্য সন্তানদের জন্য থাকবে ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল, সাঁতার, মার্শাল আর্ট ও স্কেটিং প্রশিক্ষণ। পুরুষ সদস্যদের স্ত্রীদের জন্য থাকবে সাঁতার, পিলোপাস, দৌড় ও স্ট্যাম্প ভাঙ্গা প্রতিযোগিতা। নারী সদস্যদের স্বামীদের জন্য থাকবে ১০০ মি. স্প্রিন্ট ও সাঁতার।
সারা বছর আমাদেরকে যারা সেবা প্রদান করেন (কর্মকর্তা-কর্মচারী) তাদের জন্য থাকবে ১০০ মি. স্প্রিন্ট, শ্যুটিং ও ক্যারম প্রতিযোগিতা।পারিবারিক ক্রীড়া উৎসব: এতে থাকবে সদস্য সন্তান, সদস্য স্ত্রী ও নারী সদস্যদের স্বামীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।