মিরর বাংলাদেশ : কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের পরও জনগণকে মাস্ক পড়তে হবে।এর পাশাপাশি কোভিড থেকে রক্ষায় অন্যসব সর্তকতাও হুট করে বাদ দেয়া যাবে না। কেননা যেকোন ভ্যাক্সিনের কার্যকরিতা সত্তর থেকে পচাত্তর ভাগ।
ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর উদ্যোগে এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলা হয়। শুক্রবার রাতে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে ” কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” বিষয়ে এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের শিক্ষা ও গবেষণা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এএইচএম শামসুল আলম এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া ওয়েবিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট কার্যনির্বাহী সদস্য, অধ্যাপক ডা. সারোয়ার ইবনে সালাম রোমেল।
ওয়েবিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যাল্য়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা.রুহুল আমিন মিয়া, ইউনিসেফ-এর টিকা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নাইজেরিয়া প্রধান ডা. আনিছ সিদ্দিকী, মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, চীফ এডিটর জিটিভি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সাধারণ সম্পাদক সিপিবি রুহীন হোসেন প্রিন্স, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবু সাঈদ খান এবং অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের শিক্ষা ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য সচিব ডা. গোলাম আজম এবং ধন্যবাদ বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম।
মুল প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. সারোয়ার ইবনে সালাম রোমেল বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির গাণিতিক সংখ্যা উল্লেখ করে করোনা ভ্যাকসিন এর পটভূমি তুলে ধরেন।
অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন মিয়া জানান যে, যেহেতু বিভিন্ন ধাপে ট্রায়াল দিয়ে পরীক্ষা করার পর এই ভ্যাক্সিন সমূহ বাজারে এসেছে তাই এই ভ্যাক্সিন প্রয়োগের পর কোন এন্টিবডি বা এর কার্যকারিতা দেখার প্রয়োজন নেই।
সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবু সাঈদ খান বলেন যে ভ্যাক্সিন সংগ্রহে একটি উৎস এর উপর নির্ভর না করে আরো অন্য উৎস এর সাথে যোগাযোগ রাখলে ভালো হত। এই টিকা প্রদান কর্মসুচীতে সকল সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় কারার আহবান জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বাংলাদেশে প্রাধিকার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের এই টিকা দেওয়ার খসড়া পরিকল্পনাটি সকলকে জানান। তিনি করমসুচীতে সকল সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানান।
ইউনিসেফ-এর টিকা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নাইজেরিয়া প্রধান ডা. আনিছ সিদ্দিকী বলেন যে শুধুমাত্র এই উপমহাদেশেই নয় সারা বিশ্বেই বাংলাদেশ কোভিড ভ্যাক্সিন প্রাপ্তি এবং টিকা প্রদানে একমাত্র মডেল।
সাবেক বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড ভ্যাক্সিন এর একটি প্রাধিকার রুপরেখা দিয়েছে, বাংলাদেশে সেক্ষেত্রে একটি জটিলতা দেখা দিয়েছে। যারা জীবিকার প্রয়োজনে মাঠে আছেন তাঁরা কবে এই ভ্যাক্সিন পাবেন তা জানা যাচ্ছেনা