* ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর
মিরর বাংলাদেশ : আওয়ামী লীগের ওপরে মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তিনবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এবারও দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কিন্তু যারা সন্ত্রাসী, খুনি, জনগণের অর্থ লুটপাটকারী, বোমা-গ্রেনেডহামলাকারী ও অর্থপাচারকারী- জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, ভোটও দেবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই, বিএনপি আজ আন্দোলন করতে পারছে। কিন্তু বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত- তাদের ধরতে হবে। তাদের কোনো ছাড় নেই।
আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতায় ব্যয় কমাতে হবে। তাই খরচ কমানোর জন্য আয়োজন হবে সাদামাটা। এসময় তিনি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই, বিএনপি আজ আন্দোলন করতে পারছে। কিন্তু বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত। তাদের ধরতে হবে। তাদের কোনো ছাড় নেই। ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওপরে মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তিনবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, এবারো দেবে। কিন্তু যারা সন্ত্রাসী, খুনি, জনগণের অর্থ লুটপাটকারী, বোমা-গ্রেনেড হামলাকারী ও অর্থপাচারকারী- জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, ভোটও দেবে না। ’
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের একাধিক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিকেল ৪টায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একগুচ্ছ ইস্যু নিয়ে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
এদিকে, তারিখ নির্ধারণের পর দ্রæত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের নির্দেশও দেন শেখ হাসিনা। এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘২২তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতায় বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে ব্যয় কমাতে হবে। খরচ কমানোর জন্য আয়োজনটাও হবে সাদামাটা।’
বৈঠকে ঘোষণা আসতে পারে চার সহযোগী ও দুই ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন- ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, তাঁতী লীগের সম্মেলনেরও। এছাড়া দলটির জাতীয় সম্মেলনের আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের দুই শাখার সম্মেলনের তারিখও নির্ধারণ হতে পারে এ বৈঠকে।
অন্যদিকে ডিসেম্বরে রংপুর সিটি নির্বাচন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে নিজেদের সাংগঠনিক কর্মসূচিসহ নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আসবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও নানা দিকনির্দেশনাও।