এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ

899
তৌফিক আহসান, সিলেট :   
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আজ শনিবার  ভোরে শাহ পরান থানায় ধর্ষিতার স্বামী মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে গতকাল রাতে ছাত্রাবাসে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় সাইফুরের রুম থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি লম্বা দা, একটি ছুরি ও দুটি জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়। রাত ২টার দিকে নগরীর শাহপরাণ থানা পুলিশ এমসি কলেজের নতুন ছাত্রাবাসে অভিযান চালায়। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধর্ষকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।


কলেজ সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ ও ছাত্রাবাস বন্ধ থাকলেও সাইফুর অবৈধভাবে ছাত্রাবাসে অবস্থান করছিলেন।

তিনি সহযোগীদের নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস, টিলাগড় ও বালুচর এলাকায় ছিনতাই, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতে বন্ধ ছাত্রাবাসে নিয়মিত জুয়া ও মাদকের আসর বসাতেন এমন অভিযোগও রয়েছে সাইফুরের বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন এক দম্পত্তি। রাত ৯টার কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী স্বামীকে মারধোর করে স্ত্রীকে ছিনিয়ে মহিলা ছাত্রী নিবাসে নিয়ে যায়। পরে স্ত্রীর পিছু পিছু স্বামী ছাত্রাবাসে পৌঁছলে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা। একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই বধুকে ৫-৬ জন ছাত্রলীগ কর্মী পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছলে ছাত্রলীগ কর্মীরা পালিয়ে যায়।

এদিকে গুরুতর অবস্থায় ওই বধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। স্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালেও রয়েছেন স্বামী। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) জ্যোর্তিময় সরকার জানিয়েছেন, পুলিশ গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে ছাত্রী নিবাস থেকে উদ্ধার করে। এরপর স্ত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নবনির্মিত ওই ছাত্রী নিবাসটি ফাঁকা রয়েছে। এ কারণে সেখানে বখাটেরা রাতে আড্ডা দিতো।