কবি হালিম আজাদের জন্মদিন আজ

370

 

মিরর বাংলাদেশ :
বাংলাদেশের সাংবাদিকতা,সাহিত্য,সংস্কৃতি,জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য ব্যাক্তিত্ব কবি হালিম আজাদ। হালিম আজাদ তার লেখক নাম। প্রকৃত নাম হচ্ছে মোহাম্মদ আবদুল হালিম। তিনি ১৯৫৫ সালে নারায়ণগঞ্জ’এর ফতুল্লা বক্তাবলী ইউনিয়নের মধ্যনগর গ্রামে এক কৃষক ও সংস্কৃতিমনস্ক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মলগ্নে পরিবারটি ছিল একটি সচ্চল কৃষক পরিবার। পিতা মোহাম্মদ হাকিম আলী ছিলেন বৈঠকী গানের শিল্পী। তার ছিল একটি গানের দল। মাতার নাম আমিনা খাতুন। মা আমিনা এলাকার পরিচিত বংশ লক্ষ্মীনগর খান বাড়ির মেয়ে। জন্মের পরই হালিম আজাদ নিজ বাড়িতে গানবাজনার পরিবেশে বেড়ে উঠেন। পিতা বাড়িতেই তার দলবল নিয়ে গানের চর্চা করতেন। তার গানের দল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন আসরে গান করতেন। বড় ভাইও গানের দলের সাথে ছিলেন। কৃষি ব্যবসা ছিল পরিবারের মূল কাজ। পরিবারে চৌদ্দ ভাইবোনের মধ্যে কবি হালিম আজাদ সবার ছোট। মধ্যনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক,কানাইনগর ছোবহানিয়া হাই স্কুল থেকে এসএসসি,তোলারাম কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ শিক্ষালাভ করেন। তার সংস্কৃতি কাজ শুরু হয় গ্রামে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াকালে নাটকে পারফরমেন্সের মধ্যদিয়ে। গ্রাম থিয়েটার ‘ মধ্যনগর নাট্য সংসদ’এর প্রথম ও দ্বিতীয় নাটকে গান ও অভিনয়ে অংশ নেন। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াকালে গ্রামের একটি যাত্রাদলের মঞ্চে নিজের লেখা ও সুরে একক অভিনয়ের কাব্যগীতি ‘ সোনাই ’ পারফরমেন্স করেন। এরপর থেকে শিশুশিল্পী হিসেবে এলাকায় তার নাম ছড়িয়ে পড়েন।
কানাইনগর হাইস্কুলে অধ্যয়নকালে তিনি বার্ষিক দুটি নাটকে অভিনয় ও গান করেন। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগীতায় গান পরিবেশন করেন নিয়মিত। ১৯৬৮ সালে অষ্টম শ্রেনীতে পড়াকালে স্কুলের বার্ষিক ম্যাগাজিনে তার প্রথম কবিতা প্রকাশ পায়। একই বছর তিনি ছাত্র রাজনীতিতে (বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) যোগ দেন। সেই থেকে তার গান,আবৃত্তি,কবিতা লেখা শুরু। চলে ছাত্র রাজনীতি। ১৯৬৯ সালে জাতীয় দৈনিক আজাদ’এ একটি কবিতা প্রকাশ হয়। সেই থেকে জাতীয় বিভিন্ন দৈনিকে তার কবিতা প্রকাশ অব্যাহত থাকে। । ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং বক্তাবলীতে অবস্থান করে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন , প্রশিক্ষণ গ্রহণ, এলাকার ছাত্র-যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে প্রশিক্ষণে আনা,শরণার্থীদের সহায়তা,পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপারেশনে যোগদান, ক্যাম্পের নির্দেশে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ’সহ যুদ্ধের বিভিন্ন কাজ করেন। রাষ্ট্রীয় গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি তাকে সংবর্ধনা প্রদান করে। এ ছাড়া তার জন্মভূমি মধ্যনগর প্রাক্তন ছাত্র সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা অবদান রাখায় সংবর্ধনা জানায়। কলেজে অধ্যয়নকালেও তার সংস্কৃতি কার্যক্রম গান, আবৃত্তি পরিবেশনা,কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ,পরবর্তীতে উপন্যাস লেখা তোরজোরভাবে চলে। ১৯৭২ সালে তিনি সাহিত্য সংকলন ‘অব্যয় ’ সম্পাদনা করেন। ১৯৭৫ সালে অন্যান্যের সঙ্গে গঠন করেন সাহিত্য সংগঠন ‘ অক্ষর। ’ সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো বাংলাভাষা প্রচলনের ওপর জরিপ পরিচালনা এবং জরিপ তথ্য নিয়ে সমীক্ষা সংকলণ সম্পদানা করেন। ১৯৭৭ সালে দেশের শক্তিশালী সাহিত্য সংগঠন ‘ ড্যাফোডিল ’ প্রতিষ্ঠা এবং এর সভাপতিমন্ডীর সভাপতি ছিলেন তের বছর। সাহিত্য সংকলন‘ ড্যাফোডিল ’সম্পাদনা করেন । ড্যাফোডিলের ৪৩টি সংখ্যা সম্পাদনা করেন। সংগঠনটি থেকে বেশ কয়েকটি গ্রন্থ বের হয় এবং তিনি গ্রন্থগুলোর প্রকাশক। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটি গানের দলের হয়ে সংগীত পরিবেশন করেন। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে এই হত্যার বিচারের দাবিতে ছিলেন সোচ্চার। ১৯৭৭ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে ‘ পৃথিবীর কাছে নোটিশ ’ কবিতাগ্রন্থ প্রকাশ করায় তিনিসহ এই বই প্রকাশের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে জিয়াউর রহমান সরকার মামলা দায়ের করে। ওয়ারেন্ট বের হলে তিনমাস আত্মগোপনে ছিলেন। ১৯৮৬ সালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রথম সাহিত্য সংকলণ ‘ নিরালোকে বসতি ’ সম্পাদনা করেন। সংকলনটি মুক্তধারার একুশে পুরস্কার লাভ করে।
১৯৮৬ সালের ৭ ডিসেম্বর দেশের সবচেয়ে প্রাচীণ সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ম্যাগাজিন ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘ সন্ধ্যানী’তে ‘ গণতন্ত্র ১৯৮৬ ’ শিরোনামের কবিতাটি লিখেন কবি হালিম আজাদ।অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরাচারী জেনারেল এরশাদ বন্দুকের জোড়ে ক্ষমতায় বসলে এর প্রতিবাদ করে কবিতাটি লিখেন। কবিতাটি লেখার অপরাধে ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮৬ তারিখে দুপুরে প্রেসিডেন্ট এরশাদের নির্দেশে একদল সেনাবাহিনী ৮১ মতিঝিল তার অফিস (বাংলার বানী) থেকে তুলে নিয়ে যায়। কয়েক ঘন্টা হোটেল শেরাটনের পাশে সেনাক্যাম্পে চোখ বেধে তাকে নির্যাতন করে। পরে তাকে বঙ্গবভনে প্রেসিডেন্ট এরশাদের কাছে নিয়ে যায় সেনা সদস্যরা। প্রেসিডেন্ট এরশাদ তাকে বঙ্গভবনে তার অফিস কক্ষে ৩৭ মিনিট ধমকায় ও অপমান করে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিজনক কথাবার্তা বলে শ্বাসায়। বিকেলে তাকে পুনরায় গাড়ীতে সেনা সদস্যরা অফিসের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। ২০১০ ও ২০১২ সালে সম্পাদনা করেন সাহিত্য পত্রিকা ‘ সমমনা ’র দুটি সংখ্যা। ২০১৪ সালে সম্পাদনা করেন ঘাতকদের হাতে নিহত মেধাবী সন্তান তানভির মোহাম্মদ ত্বকীর স্বারকগ্রন্থ ‘জনান্তিকে ত্বকী ’।
১৯৮৩ সালে দৈনিক বাংলার বানী পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় প্রবেশ করেন। এর পর থেকে গত ৩৭ বছর ধরে দৈনিক যুগান্তর,বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা.চ্যানেল আই,সাপ্তাহিক বিচিত্রা,পুনরায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় চাকুরী করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস’র প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। দৈনিক বাংলার বানী পত্রিকায় সাত বছর সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য হালিম আজাদ ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,বাংলাদেশ পার্লামেন্ট সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক, জাতীয় কবিতা পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রচার সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের তিনটার্মে সাত বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য এবং ক্লাবের বিভিন্ন কমিটির সদস্য ছিলেন দীর্ঘদিন।
কবির সহধর্মিণীফাহমিদা আজাদ, মেয়ে আজমাইন আজাদ কথা ও ছেলে কৌশিক আজাদ।
প্রকাশিত গ্রন্থ
কবিতাঃ
১.অদ্ভুত দরোজার কাছে (কবিতা, অস্ট্রিক পাবলিশার্স ,প্রকাশকাল ১৯৮২)
২. ভেঙ্গে দাও নারকীয় দেয়াল (কবিতা, মুক্তধারা ,প্রকাশকাল ১৯৮৫)
৩. পাথরের মানুষ (কবিতা, ড্যাফোডিল প্রকাশনী , ১৯৮৭ )
৪. কারো কারো দিকে অবিরাম চেয়ে থাকা (কবিতা,আগামী প্রকাশনী,প্রকাশকাল ১৯৮৮)
৫. যে তিমির হ্নদয় ছুঁয়ে যায় ( কবিতা,১৯৮৯)
৬. মস্কো টাওয়ারে কিছুক্ষণ (কবিতা,পারিজাত প্রকাশনী,প্রকাশকাল ১৯৯১)
৭, কবিতা সমগ্র, (প্রকাশকাল,পারিজাত প্রকাশনী,প্রকাশকাল ২০১২)
৮. নির্বাচিত ২০০ কবিতা (,পারিজাত প্রকাশনী ,প্রকাশকাল ২০১৩)
৯. জলমহালের কাব্য (পারিজাত প্রকাশনী,প্রকাশকাল ২০১৭)
সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ:
১. পৃথিবীর কাছে নোটিশ (বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে নিবেদিত ১০০ কবির কবিতা,১৯৭৭)
২. নিরালোকে বসতি ( বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা কাব্যগ্রন্থ,১৯৮৫)
৩. চেতনায় তুমি বিপ্লব ( বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে সম্পাদিত কবিতাগ্রন্থ, ১৯৮২)
৪. ড্যাফোডিল কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৮৪ )
৫. সুবর্ণ গ্রামের কবিতা (২০১২)
উপন্যাসঃ
১ . দূর্বাঘাস আর গ্রেনেডের কল্প ( অন্য প্রকাশ,মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস প্রকাশকাল ২০০৪ ,বইটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবে চ্যানেল আই আনন্দআলো সাহিত্য পুরস্কার লাভ করে)
২ . মুক্তিস্নান (মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ,ইউনিভার্সেল একাডেমী,প্রকাশকাল ২০০৬ )
৩,খনন (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস,মিজান পাবলিশার্স–২০০৫)
৪ .লড়াই ( মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস,মিজান পাবলিশার্স,প্রকাশকাল ২০০৬)
৫.নীল বাংকার (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস,মিজান পাবলিশার্স ২০১০,পুরস্কারপ্রাপ্ত)
৬. গঙ্গানামা (মুক্তিযুদ্ধ,২০১৮)
ছোটগল্প:
১. ঘরে ঘরে যুদ্ধ (মুক্তিযুদ্ধের গল্পগ্রন্থ, একুশে বাংলা প্রকাশনী, প্রকাশকাল ২০০১)
২. সাবিত্রী ও অন্যান্য গল্প (একুশে বাংলা প্রকাশনী–২০১৭)
প্রবন্ধ
১.শামসুর রাহমান ,শহীদ কাদরী ও অন্যান্য প্রবন্ধ (সাহিত্য,ভাষা,সংস্কৃতি বিষয়ে ৩০টি প্রবন্ধ)
সম্পাদিত অন্যন্য গ্রন্থ ও সংকলনঃ
১.‘অব্যয়’সাহিত্য সংকলন সম্পাদনা (১৯৭২-১৯৭৪)
২. ‘ অক্ষর ’ সাহিত্য বিষয়ক সংকলন সম্পাদনা( ১৯৭৫-৭৬)
৩. ড্যাফোডিল কাব্যগ্রন্থ (১৯৮৩)
৪. সাহিত্য সংকলন ‘ সমমনা ’ র দুটি সংখ্যা (২০১০ ও ২০১২ ) সম্পাদনা
৫. জনান্তিকে ত্বকী ( সম্পাদনা গ্রন্ধ ২০১৪ )
৬. ত্বকী ওংকারে গন্ধর্বে (১৯১৭)
৭. মাসিক ‘ ড্যাফোডিল ’এ ৪২টি সংখা সম্পাদনা (১৯৭৮ থেকে-১৯৮৫)
গবেষনা ও জীবনীগ্রন্থ:
১.সাংবাদিক-লেখক বেবী মওদুদ ( প্রকাশনায় বাংলা একাডেমী,মার্চ ২০১৬)
২.এশিয়াটিক সোসাইটির মুক্তিযুদ্ধ গ্রন্থ প্রকল্প
পুরস্কার :
১ . জাতীয় প্রেসক্লাব সাহিত্য পুরস্কার ( ২০০৩)
২ . চ্যানেল আই আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার (দুর্বাঘাস আর গ্রেনেডের গল্প ’ উপন্যাসটি শ্রেষ্ঠ স্থান)
৩ . শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার( কবিতায় অবদানের জন্য)
৪ .চারণ সাহিত্য পুরস্কার, ঢাকা
৫.ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাহিত্যপদক
৬ .আবুল হাসেম হাসু সাহিত্য পুরস্কার,
৭. মধূসদন পদক ২০১৫ (নির্বাচিত ২০০ কবিতা ’ গ্রন্থটি সৃষ্টিশীল কবিতায় শ্রেষ্ঠ স্থান,মাইকেল ফাউন্ডেশন,যশোর )
৮. পদক্ষেপ সাহিত্য পুরস্কার,ঢাকা(কবিতায় অবদান রাখার জন্য, ২০১১)
৯. মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংবর্ধনা,ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি
১০. মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংবর্ধনা,মধ্যনগর প্রাক্তন ছাত্র সমিতি
১১.এম নুরুল কাদের শিশু সাহিত্য পুরস্কার(২০১৪,নীল বাংকার উপন্যাস)
১২. স্বপ্ন মুক্তিযোদ্ধা সন্মাননা ,ঢাকা (২০১৮)
পেশাগত ও অন্যান্য:
১৯৭৯ সালে দৈনিক বাংলার বানী পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় প্রবেশ। এর পর থেকে গত ৩৪ বছর ধরে দৈনিক যুগান্তর,বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা.চ্যানেল আই,সাপ্তাহিক বিচিত্রা,পুনরায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় চাকুরী করেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস’র প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দৈনিক বাংলার বানীতে সাত বছর সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্বপালন করেন। সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা, অব্যায় (প্রকাশ কাল ১৯৭৬ ).অক্ষর সাহিত্য সংগঠনের পরিচালক (১৯৭৮),মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘ ড্যাফোডিল (১৯৭৯) এ সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি(১৯৭৯ -১৯৮৯) হিসেবে এ পত্রিাকার ৪৮টি সংখ্যা সম্পাদনা। জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য(বর্তমানে প্রকাশনা ও প্রচার সম্পাদক,পদাবলী (প্রতিষ্ঠাতা সদস্য)।
পেশাগত সফর
গত পয়ত্রিশ বছরে কবি হালিম আজাদ পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে,বিভিন্ন দেশের আমন্ত্রণে,সাহিত্য,সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্মেলন-সেমিনারে যোগদান উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ সফর করেন। তার সফর করা দেশগগুলো হচ্ছে,ভারত,যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য,রাশিয়া,ফীনল্যান্ড,নেপাল ,সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর।