চিরকাল কেউ ক্ষমতায় থাকে না , দেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না –ওবায়দুল কাদের

510

মিরর বাংলাদেশ : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না। এ জন্য তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের ক্ষমতার দাপট না দেখানোর জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন তিনি।স্বাচিপ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ডাক্তার আবু নাসার রিজবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএমএ’র সভাপতি ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডাক্তার কনক কান্তি বড়ুয়া এবং স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডাক্তার ইকবাল আর্সলান ও সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার এমএ আজিজ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা দল করেন তারা মনে রাখবেন দলে যদি ঐক্যকে গুরুত্ব না দেন, নিজেদের মধ্যে কলহ-কোন্দল থাকে তাহলে দুঃসময়ে প্রতিপক্ষ কোন্দলের ওপর আঘাত হানবে। এ দেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না। চিরজীবন আমরা ক্ষমতায় থাকবো এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাবেন না, আমরাও ভাবি না। চিরকাল কেউ ক্ষমতায় থাকে না। চোখের পলকে বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট ঘটে গেছে। হঠাৎ করে ২১ আগস্ট। ক্ষমতায় থেকে যে যেখানে আছেন ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা বিচার বহির্ভূত হত্যার কথা বলেন তারা যেন নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে নেন।‘সংকট ও দুর্যোগে দূরদর্শিতার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প তিনি নিজেই।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন প্রায় ৯০টির বেশি সেন্টারে কোভিড টেস্ট হচ্ছে; যা ইতোমধ্যে নমুনা পরীক্ষায় সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে বলে প্রমাণ করে। সংক্রমণ বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড-এ না থাকলেও নিম্নমুখী বলা যাচ্ছে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কোনোভাবেই শৈথিল্য না দেখিয়ে আরও সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সেবাবান্ধব সরকার। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক ছাড়াও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালের সেবার সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলায় আইসিইউ কমপ্লেক্সে স্থাপনের।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য খাতসহ অন্যান্য খাতেও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার স্পষ্ট ও কঠোর অবস্থান থেকেই স্পষ্ট যে অনিয়মের চর্চায় দলীয় পরিচয় কখনও রক্ষাকবচ হতে পারে না।