ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার ২০২২’ পেলেন রাজীব নূর- হাসান হাফিজ- এম মামুন হোসেন

321

 

মিরর বাংলাদেশ :
এ বছর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ৩ জন। কথা সাহিত্যে (গল্প/উপন্যাস) রাজীব নূর (সমকাল), কাব্যে (কবিতা/ছড়া) হাসান হাফিজ (আমার দেশ) ও মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) ক্যাটাগরিতে এম মামুন হোসেন (সময়ের আলো) ‘ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার-২০২২’ বিজয়ী হয়েছেন।

২০ অক্টোবর, ২০২২ বৃহস্পতিবার জুরি বোর্ডের দেওয়া প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। রাজীব নূর ‘পুরুষ, পিতৃত্ব ও অন্যান্য গল্প’ এর জন্য, হাসান হাফিজ কাব্যগ্রন্থ ‘নদী নয় মানুষের মতো অনুদার’ এবং এম মামুন হোসেন তার ‘আদি অন্তে ঢাকা’ গ্রন্থের জন্য বিজয়ী হয়েছেন।
ডিআরইউর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান। তারা বলেন এ সাহিত্য পুরস্কার ডিআরইউ সদস্যদের মননশীলতা বিকাশে সহায়ক হবে এবং ডিআরইউতে সাহিত্য চর্চা আরও বেগবান করবে।

আগামী ২৬ অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩০টায় ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এমপি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিবেন। এ সময় যে সকল সদস্য বই জমা দিয়েছেন তাদেরকেও সম্মাননা দেওয়া হবে। বিজয়ীদের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হবে। সম্মাননা প্রাপ্তদের ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হবে।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিটি বিভাগে ৩ জন করে মোট ৯ জন স্বনামধন্য কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিক্ষক ডিআরইউ’র সাহিত্য পুরস্কারের জুরি বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন।

তারা হলেন, কথা সাহিত্য (গল্প/উপন্যাস): কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, অধ্যাপক রফিকুর রশীদ ও জনাব মনি হায়দার। কাব্য (কবিতা/ছড়া): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ (সৌরভ সিকদার), কবি ইরাজ আহমেদ ও কবি আসাদ মান্নান। মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সেলিম মোজাহার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর।

উল্লেখ্য, ডিআরইউ সদস্য লেখকদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এবছর সাহিত্য পুরস্কার চালু করে। ৩টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য সদস্য লেখকদের কাছ থেকে ১ এপ্রিল ২০২১ থেকে ৩০ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত সময়কালে প্রকাশিত বই জমা নেওয়া হয়। মোট ৩৯ জন সদস্য বই জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে কথা সাহিত্য (গল্প/উপন্যাস) ১২টি, কাব্য (কবিতা/ছড়া) ৮টি এবং মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) ১৯টি।

যারা সম্মাননা পাবেন:
কথা সাহিত্য (গল্প/উপন্যাস) : হাবিবুল্লাহ ফাহাদ (খৈয়া গোখরার ফনা), প্রণব মজুমদার (তোমাদের গল্প), মাইদুর রহমান রুবেল (ভূতের করোনা পজেটিভ), মুস্তাফিজ শফি (স্পর্শ), আমিরুল মোমেনীন মানিক (আরতুগ্রুল বাঙালি), দীপক চৌধুরী (ভোগ), ইন্দ্রজিৎ সরকার (অথবা অন্য কেউ), জীবন ইসলাম (একাত্তরে শিলারা), আসাদুজ্জামান অংশুমান (জয়ামায়া), শাহীন চৌধুর (জাফলং থেকে সুন্দরবন), ও হক ফারুক আহমেদ (জলের জমিন)।

কাব্য (কবিতা/ছড়া) : নির্মল চক্রবর্তী (ঈগলের মতো প্রসারিত হাত), আমিরুল মোমেনীন মানিক (ফেরেশতার সুগন্ধি রুমালে আমার আত্মা), রীতা নাহার (চান্দ্রসিক গল্পের রেশ), আব্দুল মান্নান (পরিযায়ী প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধ), সাজেদা পারভীন সাজু (অপেক্ষা), মুহাম্মদ আব্দুল বাতেন (রাত্রিকালীন পাখির স্বর) ও আইরিন নিয়াজী মান্না (নির্বাচিত ১০০ ছড়া)।

মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) : আশিস সৈকত (খবরের ভেতরের খবর), মোহাম্মদ আল মাসুম মোল্লা (ভাষান চর), জাকির হোসেন (গণমাধ্যম বিদ্রোহী মার্চ), আবদুল্লাহ জেয়াদ (চলচ্চিত্রের কারিগর আজিজুর রহমান), আবু আলী (শেয়ার বাজারের সহজ পাঠ), পার্থ সন্জয় (কান ডায়েরী ওহ বাংলাদেশ), জান্নাতুল বাকেয়া কেকা (বিভুঁইয়ে সাংবাদিকতা), শামসুজ্জামান শামস (বাঙালির ১০ উৎসব), সুমি খান (গণহত্যার ঘাতকেরা সক্রিয়- টার্গেট পিতা মুজিব থেকে ত্রাতা হাসিনা), শামীম আল আমিন (দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ), মোরসালিন আহমেদ (ভারোত্তোলনে বাংলাদেশ), আসাদুজ্জামান স¤্রাট (দেশ থেকে দেশে), ইমরান উজ জামান (বাংলাদেশের মেলা পার্বন), মানিক মুনতাসির (মুখোশের আড়ালে মুখোশ), উদিসা ইসলাম (রাষ্ট্রনায়ক), তারিকুল ইসলাম মাসুম (করোনা), আলতাব হোসেন (জলবায়ুর দৃশ্যমান প্রভাব প্রেক্ষিত বাংলাদেশ) ও জি. এম. ফয়সাল আলম (১৯৭১ অজানা গণহত্যা)।