না’গঞ্জে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি

519

মিরর প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ওবুড়িগঙ্গা নদীর পানির বৃদ্ধি পেয়ে তা লোকালয়ে প্রবেশ করেছে । এতে করে তলিয়ে গেছে একটি বাজার, দেড়শতাধিক বাড়ি। পানির জোয়ারে ধসে গেছে দুুটি ভবন ও একটি কালভার্ট । নারায়ণগঞ্জ সদর ইউএনও নাহিদা বারিক বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় রাস্তা ভেঙ্গে বুুড়িগঙ্গা নদীর পানি প্রবেশ করে একটি একতলা ভবন ধসে গেছে। এছাড়া তলিয়ে গেছে প্রায় ১৫০ টি বাড়ি। এতে ওই এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।একই সাথে ধুলেশ^রী নদীর পানির জোয়ারে একটি ভবন ধসে গেছে। এছাড়া একটি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।
অন্যদিকে বন্দর এলাকায় শীতলক্ষার পানি নদীর পার্শ্ববতী একটি বাজার তলিয়ে গেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার সাধারণ মানুষ বন্যার আশংকায় আতংকে রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় একটি বুড়ীগঙ্গা নদীর পানি তীব্র ¯্রােত এসে একতলা ভবনে আছড়ে পড়ে। এতে মুহুর্তের মধ্যে পুরো একতলা ভবনটি ধসে যায়। তবে ঘরে থাকা বাসিন্দরা কোন রকম জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে।
বিধ্বস্ত বাড়ির বাসিন্দা মিঠু জানান, আমার সমন্ধী রতন দেড়বছর আগে মারা গেছে । এখন ধর্মগঞ্জ যে বাড়িটি ধসে পড়েছে সেখানে মৃত রতনের স্ত্রী লাখি ও তার দু সন্তান নিয়ে বসবাস করছিল। মঙ্গলবার রাতে ধর্মগঞ্জ বুড়ীগঙ্গা সংলগ্ন ২০ ফুট রাস্তাটি নদীর পানির চাপে ভেঙ্গে যায়। ওই সময় পানি ¯্রােত ধসে যাওয়া বাড়িটির পাশে থাকাএকটি গলি রাস্তা দিয়ে তীব্র গতিতে প্রবাহিত হতে থাকে। ওই সময় ওই রাস্তায় মাটি ও বাড়ির নীচে বালু সরে গিয়ে বাড়িটি মুহূর্তের মধ্যে ধসে পড়ে যায়। লাখি এ ঘটনা আঁচ করতে পেরে আগেভাগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল।
অন্যদিকে শহর ওপার বন্দর এলাকায় শীতলক্ষা পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীর পাড়ে থাকা একটি ক্ষুদ্র বাজার তলিয়ে গেছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শীতলক্ষার পানিতে তলিয়ে যাওয়া ছবিটি পোস্ট করেছেন শহরের করোনাকালে মানবতার কাউন্সিলর শকু।
নাসিকের কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু জানান, ১ নং কেন্দ্রীয় লঞ্চ ঘাটের ওপার বন্দর এলাকায় নদীর পার হয়ে উঁচুতে যে বাজার রয়েছে সেখানে পানি উঠে গেছে। আশংকা করছি নদীর পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে দুই দিন এভাবে বাড়তে থাকলে শহর বন্যা কবলিত হতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক জানান, ঘটনার পরেই বুধবার বিকালেই বুড়ীগঙ্গা পানিতে প্লাবিত ১৫০ টি পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে ও সরেজমিন ঘুরে দেখে এসেছি। তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে যে কোন সহায়তা করা হবে।
জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন জানান, ঘটনার পারই সদর ইউএনওকে বন্যা প্লাবিত এলাাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, আগাম বন্যার আশংকায় আমরা ঈদের আগেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি জেলা বন্যা নিয়ন্ত্রন কমিটি প্রস্তুতি মূলক মিটিং করেছি। সেখানে জেলার প্রত্যেকটি থানার প্রত্যেকিট ইউনিয়নে ফায়ার সার্ভিস , পুলিশ প্রশাসন, ত্রান টীম ও মেডিকেল টীম বিশেষ করে বন্যায় পানি বাহিত রোগী বেশী হয় সে বিষয়ে আগাম প্রস্তুতি রেখেছি। মূলত নারায়ণগঞ্জে আগাম বন্যার সকল প্রস্তুতি রয়েছে জেলা প্রশাসনের।