নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট অফিসে ভাংচুর, কানাডা প্রবাসী আটক

435

মিরর প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ :
নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারীকে মারধর ও অফিস কাউন্টারের কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করায় কানাডা প্রবাসী আজমল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে সাইনবোর্ড এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত আজমল হোসেন কানাডা প্রবাসী ও নারায়ণগঞ্জের উত্তর চাষাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা হোসেনের ছেলে। এঘটনায় আহতরা হলেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. মহসিন ইসলাম (২৯) ও আবদুস সালাম (৩০)।
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, আটক আজমল হোসেন কানাডা প্রবাসী। তিনি পাসপোর্ট করার জন্য কাগজপত্র জমা দিতে আসেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সত্যায়িত করা ছিল না। তাকে সত্যায়িত করে দেয়ার কথা বললে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর মধ্যেই তিনি রোহিঙ্গা কিনা তা যাচাই করার জন্য তার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিতে চাইলে তিনি রেগে কাউন্টারে আঘাত করেন। এতে কয়েকটি গøাস ভেঙ্গে যায় এবং দুইজন কর্মচারী রত্তাক্ত হন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আহত অফিস সহকারী মহসিন ইসলাম জানান, কানাডা প্রবাসী আজমল হোসেন পাসপোর্টের কাগজপত্র জমা দেন। কিন্তু তার টাকা জমা দেয়ার ব্যাংক রশিদ, কাগজপত্র সত্যায়িত ছিল না। স্ত্রী ও বাচ্চার কাগজে সমস্যা ছিল। কথা কাটাকাটির মধ্যেই তিনি গøাসে আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলেন এবং মারধর করেন।
আটককৃত কানাডিয়ান প্রবাসী আজমল হোসেন বলেন- স্ত্রী ও বাচ্চার পাসপোর্ট করার জন্য পাসপোর্ট অফিসে ছিলাম। আমাদের কাগজে কিছু সমস্যার কথা বলে অফিস সহকারী অনেক খারাপ আচরণ করেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে কাউন্টারের গøাসে আঘাত করি এবং তা ভেঙ্গে যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।
সেখানে উপস্থিত কানাডিয়ান প্রবাসীর স্ত্রী মাকসুদা আক্তার বলেন, আমাদের তিন মাসের বাচ্চার ও আমার পাসপোর্ট করার জন্য এর আগে একবার এসে ফেরত গিয়েছি। আজ আমরা পাসপোর্টের আবেদন ফরম জমা দিলে ওই কর্মচারী তা নেননি। এসময় আমার স্বামীর সঙ্গে বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমার স্বামী অফিসের গøাসে ধাক্কা দিলে তা ভেঙে যায় এবং ওই কর্মচারী আহত হন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান,পাসপোর্ট অফিসে ভাঙচুর ও কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।