‘নেইমারের দাম ১০ লাখ, মেসি বিক্রি হবে ১২ লাখ টাকায়’

322

* নারায়ণগঞ্জে খামারগুলোতে গরুর ফ্যাশন শো দেখে মুগ্ধ ক্রেতা

মিরর বাংলাদেশ :
রংবেরংয়ের কাপড় দিয়ে সাজনো হয়েছে গরু । ক্রেতারদের আকর্ষণ করানোর জন্য সেই পোষাকপরা কোরবানীর পশুকে ঘুরানো হয় কয়েক চক্কর । অনেকটা ফ্যাশন শো মতো। গরুর ফ্যাশন শো দেখে মুগ্ধ ও ক্রেতারা। নারায়ণগঞ্জে গরুর খামারগুলোর এখনকার দৃশ্য এটা। প্রতিদিনই বাড়ছে খামার গুলোকে ক্রেতার সমাগম।
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ক্রেতারা এখন থেকেই বিভিন্ন ফার্ম, পশুর হাটগুলোতে ভিড় করছেন। তবে বর্তমানে পশুর হাটগুলোর তুলনায় ক্রেতারা পশু কিনতে বিভিন্ন ফার্মগুলোতে বেশি ভিড় জমাচ্ছেন। এখনই অনেক ক্রেতারা নিজেদের পছন্দমতো গরু ক্রয় করে ফার্মেই রেখে যাচ্ছেন।
এদিকে এবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর বাগানবাড়ি এলাকার আলী এগ্রো ডেইরী ফার্ম উন্নতমানের কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ করছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ফার্মটির সবচেয়ে বড় গরু ও মহিষের নাম রাখা হয়েছে বিশ্বের জনপ্রিয় দু’জন খেলোয়াড়ের নামে। আড়াই বছর বয়সের ভারতীয় শাহীওয়াল জাতের গরুর নাম রাখা হয়েছে নেইমার ও নিলিরাভি জাতের মহিষটির নাম রাখা হয়েছে মেসি।
নেইমারের দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। গায়ের রঙ সাদা। ১০ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতার গরুটির ওজন ২৫ মণ। মেসি নামের ৩০ মণের মহিষটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। কুচকুচে কালো-বাদামি রঙ্গের মহিষটি লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট। প্রতিদিন নেইমার মেসির খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভূসি, সবুজ ঘাস এবং খড়।
ফার্মটির পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন জানান, তাদের ফার্মে ব্রাহমা, সিংদী, শাহীওয়াল, নেপালি বলদ, দেশাল, ফ্রিজিয়ান জাতের ১ হাজারেরও বেশি গরু লালন পালন করা হয়। পাশাপাশি দুম্বা, ভেড়াও রয়েছে। গরুগুলো যতœ নেওয়ার জন্য রয়েছে নানা আধুনিক সব ব্যবস্থা। নেইমার ও মেসি নামের ফার্মের বড় দুটি গরু ও মহিষকে দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করে। অনেকেই ছবি তুলছে আবার অনেকেই পশুগুলোর ভিডিও ধারণ করছে।
আলী এগ্রো ডেইরী ফার্মের মালিক সৈকত আলী রনি বলেন, এবারের কোরবানির ঈদের জন্য আমার ফার্ম থেকে ১ হাজার গরু-মহিষ বিক্রি করার টার্গেট রয়েছে। এরই মধ্যে ৫০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকেই গরু ক্রয় করে ফার্মে রেখে যাচ্ছেন। বিক্রি হওয়া এই পশুগুলো ঈদের তিনদিন আগে ডেলিভারি দেওয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আমার এই ফার্ম থেকে গরু কিনতে আসেন। আমাদের ফার্মে ৩ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা দাম পর্যন্ত গরু রয়েছে। আশা করছি, গতবারের তুলনায় এবার আমরা আরও বেশি গরু বিক্রি করতে পারবো। ফার্মটির বড় দু’টি পশু মেসি ও নেইমারের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, আলোচনা সাপেক্ষে দাম কিছুটা কম রাখা যাবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার জানান, নারায়ণগঞ্জে এবার কোরবানির টার্গেট ১ লাখ। চাহিদার তুলনায় বেশি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বিশেষায়িত খামার ছাড়াও সাধারণ খামার ও কৃষকরা বাড়িতে গবাদিপশু পালন করে কোরবানির জন্য তৈরি করছে। তবে বর্তমানে অধিকাংশ ক্রেতাদের এগ্রো ফার্মগুলো বেশি আকৃষ্ট করে। তাই এখন অনেকেই এই ফার্মগুলো থেকে কোরবানির জন্য গরু ক্রয় করে থাকেন।