ফতুল্লা প্রতিনিধি : নায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইসমাইল হোসেন নামে এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে এলোপাথারী মারধর করে এক লাখ সাড়ে ৩৯ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৫ দিন অতিবাহিত হলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এতে ওই ছিনতাইকারীরা ফের ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ীর ছোট ভাই ইশাকে বেদম মারধর করেছে। ওই সময় ব্যবসায়ীর গেইট ভাংচুর করতে গিয়ে আরিফ নামে এক ছিনতাইকারী মাথায় আঘাত পেয়ে উল্টো মামলা করার হুমকি দেয় ব্যবসায়ীকে।
২৬ এপ্রিল ফতুল্লার মাউরাপট্রি এলাকায় এঘটনা ঘটে। এতো দিনে পুলিশ ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করেনি এবং মামলাও নেয়নি। এনিয়ে ব্যবসায়ীর পরিবারে দেখা দিয়েছে আতংক এলাকাবাসীর মধ্যেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এবিষয়ে পুলিশ বলছে এখনো তদন্ত চলছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাউরাপট্রি এলাকার দাউদ মিয়ার দুই ছেলে শরিফ ও আরিফ এবং মনসুর মিয়ার দুই ছেলে আল আমিন ও সোবহান দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক ছিনতাই ও মারামারির ঘটনায় ফতুল্লা থানায় একাধিক মামলা আছে। প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে অনর্থক মারধর করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিচ্ছে। থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ রহস্যজনক কারনে ওই চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারও করেনা মামলাও নেয়না। এতে দিন দিন তারা হিংস্র হয়ে উঠছে।
এলাকাবাসীর দাবী মাউরাপট্রির ওই চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে প্রকাশ্যে শাসন করতে হবে এবং আইনের আওতায় নিতে হবে। আর নয়তো এলাকাবাসী সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করার হুমকি দেয়।
ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত ইসমাইল হোসেন বলেন, ২৬ এপ্রিল রাত ১০টায় তল্লা এলাকায় অবস্থিত আমার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মা গার্মেন্টস থেকে শ্রমিকদের বেতন দেয়ার এক লাখ সাড়ে ৩৯ হাজার টাকা পকেটে নিয়ে উত্তর চাষাঢ়ার বাড়িতে ফেরার পথে মাউরাপট্রিতে চারজন সহ প্রায় ৭/৮ জন ছিনতাইকারী পথরোধ করে। এসময় ধারালো ছুরির ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। তখন বাধা দিলে তারা এলোপাথারী মারধর করে মাথা, চোঁখে বুকে ও পিঠে মারাত্মাক আঘাত করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের ধারালো ছুরির আঘাতে মাথায় ৩টি সেলাই করতে হয়েছে এবং ডান চোঁখে রক্ত জমাট হয়ে ফুলেগেছে। পিঠ ও বুক লোহার পাইপের আঘাতে ফেটে গেছে।
এঘটনায় থানায় অভিযোগ করে ছিনতাইকারীদের ধরতে এলাকায় পুলিশ নিয়ে যাওয়ায় তারপর দিন দল বেধে প্রায় ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তখন আমার ছোট ভাই ইশাকে বাসার সামনে পেয়ে কাঠের লাঠি দিয়ে বেধম মারধর করে। এসময় ইশার মাথায়ও আঘাত করা হয়। ওইসময় বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা গেইট লাগিয়ে দিলে সন্ত্রাসীরা গেইটে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তাদের ছোড়া ইট পাটকেল গেইট থেকে উল্টে এসে ছিনতাইকারী আরিফের মাথায় লেগে ফেটে যায়। এঘটনায় ছিনতাইকারীরা উল্টো আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, এতে এলাকায় চরম আতংক দেখা দিলেও পুলিশ ৫ দিনেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ছিনতাইকারীরাও তাদের লোকজন দিয়ে হুমকি দিয়ে বলছে থানায় মামলা হবেনা। আসো মিলে যাই বেচে থাকলে টাকা কামাইতে পারবা। উল্টাপাল্টা কিছু করার চেস্টা কইরো না।
ঘটনার তদন্তে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শামীম বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।