বাবুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে নেতা-কর্মীদের কান্নার রোল

844

মিরর বাংলাদেশ : বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মরহুম শফিউল বারী বাবুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল সহ বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ তার কফিনের পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরআগে তার কফিন বিএনপির পতাকা দিয়ে ঢেকে দেন বিএনপি মহাসচিব।

সকাল ১০ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে শফিউল বারী বাবুর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মো. শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, জামায়াতের মহানগর নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, যুব দলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সরোয়ার, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলী, এসএম জিলানী, কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল, মোঃ হারুন অর রশিদ, মোর্শেদ আলম, ঢাকাস্থ রামগতি ইয়ুথ ফোরামের নজরুল ইসলাম বাবলুসহ সহাস্রাধিক নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন ওলামা দলের মাওলানা শাহ নেছারুল হক।
জানাজার আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, আজকে শফিউল বারী বাবুর জানাজায় উপস্থিত হতে হবে এটা আমরা কল্পনাও করিনি। বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন না, তিনি বিএনপির একটা প্রাণ ছিলো। অসংখ্য নেতা-কর্মী সারাদেশে তার হাতে তৈরি হয়েছে এবং বিএনপির অঙ্গসংগঠনের মধ্যে এই ধরনের ত্যাগী, মেধাবী, বুদ্ধিমান, লেখপড়া জানা নিবেদিত প্রাণ নেতা খুব কম আছে। বাবুকে হারিয়ে আমরা আমাদের

 

একটা অমূল্য সম্পদকে হারালাম। বিএনপির এই সৈনিক, শহীদ জিয়াউর রহমানের এই সৈনিক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই সৈনিক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই সৈনিক কখনো পেছনে ঘুরে তাকায়নি। আন্দোলনে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তার ভুমিকার কোনো তুলনা হয় না। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, আল্লাহ‘তালা যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল ও মরহুম বাবুর বড় ভাই সাহেদুল বারীও বক্তব্য রাখতে গিয়ে মরহুমের অবদানের কথা বলতে গিয়ে গুমরে গুমরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ ও হাজী মুজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহাতাব ও আবদুর রহিম, জাসাসের মামুন আহমেদ ও হেলাল খান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস ও সুলতানা আহমেদ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেন।
এলডিপির শোক:
শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন ২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। নেতৃদ্বয় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তারা বলেন, শফিউল বারী বাবুর মত একজন সাহসী ও তরুণ নেতার মৃত্যুতে জাতীয়তাবাদী শক্তি একজন উদীয়মান নেতৃত্ব হারালো। চলমান ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তার সাহসী ভূমিকা এ প্রজন্মের জন্য অনুস্মরণীয় হয়ে থাকবে।