হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন কি না, জানতে চায় ইন্টারপোল

327

মিরর বাংলাদেশ : হারিছ চৌধুরীকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-পর্যালোচনা। তিনি কি সত্যিই মারা গেছেন- তা জানতে চেয়ে সিআইডিকে চিঠি দিয়েছে ইন্টারপোল। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ইন্টারপোলের রেড নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য তার মৃত্যুর প্রমাণ জানতে চেয়েছে ইন্টারপোল।

বিএনপির সাবেক নেতা হারিছ চৌধুরী সত্যিই মারা গেছেন কি না, তা জানতে চেয়ে সিআইডিকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।
হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন কি না, জানতে চেয়েছে এনসিবি

শনিবার এনসিবির সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজিপি) মহিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সিআইডি আমাদের বলেছিল, হারিছের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ করার জন্য। তখন স্বাভাবিকভাবে রেড নোটিশ জারি করা হয়। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখেছি, হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন। এখন তার মৃত্যুর সত্যতা জানা প্রয়োজন। তাই আমরা পুলিশের অপারেশনাল ইউনিট সিআইডির কাছে তার মৃত্যুর সত্যতা জানতে চেয়েছি। তিনি মারা গেছেন কিনা তা জানাতে বলেছি।

মহিউল ইসলাম আরও বলেন, মৃত মানুষের রেড নোটিশ বাতিল করা হয়। একজন মৃত মানুষের তো ইন্টারপোলে রেড নোটিশ রেখে কোনো লাভ নেই। তাই আমরা সিআইডির কাছে তার মৃত্যুর সত্যতা জানতে চেয়েছি। সে বিষয়ে তারা কাজ করছেন।

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করে পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। কারও বিষয়ে রেড নোটিশ জারি কিংবা প্রত্যাহারের বিষয়টিও তদারকি করেন তারা। রেড নোটিশ প্রত্যাহারের আগে হারিছের মৃত্যুর সঠিক তথ্য প্রমাণ দরকার। তাই সিআইডিকে এ বিষয়ে দ্রুত লিখিত তথ্য দিতে বলেছে এনসিবি।

গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষদিকে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে মারা যান বলে জানা গেছে। গত ১১ জানুয়ারি হারিছ চৌধুরী চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরীর বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশ হয়। এরপর হারিছ চৌধুরীর মেয়ের বরাত দিয়ে কেউ কেউ খবর প্রকাশ করেন তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন হারিছ চৌধুরী। সে সময়ের প্রভাবশালী এই নেতা বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
পালিয়ে যাওয়ার পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজা হয় হারিছ চৌধুরীর। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হারিছ চৌধুরীর সাত বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়।

এ ছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হারিছ চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর হারিছ চৌধুরী সস্ত্রীক তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দর্পনগরে যান। রাত ১২টার পর তার ব্যক্তিগত সহকারী আতিক মোবাইল ফোনে জানান, ঢাকায় বিএনপি নেতাদের বাসভবনে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। কয়েক ঘণ্টা পর যৌথ বাহিনী হারিছের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু তার আগেই তিনি সরে পড়েছিলেন।