৩ মাসে ৬৬ শিশু হত্যা

471

মিরর বাংলাদেশ : গত ৩ মাসে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে শিশু অপমৃত্যুর সংখ্যা ৫২৬ টি। যার মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। ২০০ টি শিশুর এবং বিভিন্ন সড়ক ও যানবাহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৩ টি শিশু। এই ৩ মাসে ৬৬ টি শিশুকে হত্যা করা হয়।
শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে আসে। ১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত শিশু নির্যাতনের সংবাদ পরিবীক্ষণ করে বিএসএএফ এতথ্য প্রকাশ করেছেন।
এরিপোর্টটি বিশ্লেষন করে সংগঠনটির পক্ষ বলা হয় , সংখ্যার দিক থেকে গত কয়েক মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে সেপ্টেম্বর মাসে শিশু অপমৃত্যুর সংখ্যা ১৭২ টি যার মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ টি শিশুর এবং বিভিন্ন সড়ক ও যানবাহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ টি শিশু। এই এক মাসে ২৭ টি শিশুকে হত্যা করা হয়।
রিপোর্ট পেশ করে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিএসএএফ’র পরিচালক এ. এস. মাহমুদ বলেন,সাম্প্রতিককালে শিশু নির্যাতন বিশেষত শিশু ধর্ষণ মারাতœক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা আমাদের বিচলিত করে ও শংকীত কওে এবং তা হতাশাজনক। শিশু নির্যাতন বন্ধে দ্রæত কার্যব্যবস্থা গ্রহণ এখন জরুরী বলে তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করেন।
রির্পোটে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে বলা হয়,সংখ্যার দিক থেকে সেপ্টেম্বর মাসে শিশু ধর্ষণের সংখ্যা বিগত ৮ মাসের তুলনায় সর্বো”চ। এ মাসে মোট ৬৮ টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তন্মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৪ টি শিশু। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় ১৬ টি শিশুকে। বিভিন্ন ধরণের যৌণ নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৪ জন শিশু, পক্ষান্তরে ৫ জন শিশু পর্ণোগ্রাফির শিকার হয়েছে।
বিগত ৩ মাসে অর্থাৎ জুলাই – সেপ্টেম্বর মাসে শিশু ধর্ষণের মোট সংখ্যা ১৮২, তার মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ২১ টি শিশু। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় ৩৭ টি শিশুকে। যৌণ নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪৪ জন শিশু, পক্ষান্তরে ১২ জন শিশু পর্ণোগ্রাফির শিকার হয়েছে।
ফোরামের পক্ষ থেকে আরো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়,ধারাবাহিকভাবে এসব ঘটনা ঘটতে থাকায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনা প্রতিহত করতে আরো তড়িৎ হস্তক্ষেপ এবং জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ ও দপ্তরসমূহকে আরো তৎপর ও কঠোর হওয়ার কোন বিকল্প নাই। এতে আশা বাদ ব্যক্ত করে বলা হয় সরকার অতি দ্রæত এসব ঘটনার প্রকৃতি ও পুনরাবৃত্তিকে বিবেচনায় রেখে বিদ্যমান সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলোকে পর্যালোচনা করবে। প্রয়োজনে আরো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সকল এজেন্সি সমূহকে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেবে। এতে বলা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী দ্রæত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এসব অপরাধীদের নির্ম‚ল করা সম্ভব।